নেথান কলিয়ার একজন ফ্রিল্যান্সার এবং বিপণন পরামর্শক। তিনি চার বছর ধরে সারা বিশ্বের বিভিন্ন ক্লায়েন্টের জন্য কাজ করে আসছেন। চার বছরের মধ্যে দুই বছর তিনি পূর্ণকালীন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করেছেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ৪টি টুলের কথা উল্লেখ করেছেন৷
ফ্রিল্যান্সিংয়ে অর্থপ্রাপ্তির বিষয়টি সবার আগে আলোচনায় আসে। আর তাই ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য আলাদা একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। ফলে বিভিন্ন ক্লায়েন্টের কাছ থেকে নগদ বা চেকের মাধ্যমে পারিশ্রমিক সংগ্রহ করার পাশাপাশি হিসাবও রাখা যাবে।
ফ্রিল্যান্সিং কাজের ক্ষেত্রে যোগাযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে জি-স্যুট বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। কারণ, এতে জিমেইল, জি-ড্রাইভ, জি-ডক, জি-শিট, জি-স্লাইড ব্যবহার করা যায়। প্রতি মাসে পাঁচ ডলার খরচ করে ক্লাউড স্টোরেজ সুবিধাও ব্যবহার করা যাবে। জিমেইল দিয়ে যোগাযোগের পাশাপাশি জি-ডক এবং জি-শিট ব্যবহার করে তাৎক্ষণিক মন্তব্য ও রিপ্লাই দেওয়ার সুযোগ থাকায় বিভিন্ন কাজে ক্লায়েন্টদের সহযোগিতা পাওয়া যায়।
ফ্রিল্যান্সিংয়ে একটি কাজ করতে কত সময় লাগছে, তা চিহ্নিত করা জরুরি। কাজের দক্ষতা পর্যালোচনার পাশাপাশি কোন ক্লায়েন্টের কোন কাজের জন্য কত সময় ব্যয় হচ্ছে, তা জানার জন্যও ট্র্যাকিং টুল বেশ কার্যকর। টগল ও জিমেইল টাইম ট্র্যাকার এমন দুটি টুল। টগল খুব সহজে ব্যবহার করা যায়। চালু ও বন্ধ করে এর মাধ্যমে সময় ট্র্যাক করা যায়।
জিমেইল টাইম ট্র্যাকার হলো ক্রোমের একটি এক্সটেনশন। এটি বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যায়।
ফ্রিল্যান্সিং করার সময় অবশ্যই কাজের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় টুল ব্যবহার করতে হবে। যেমন কনটেন্ট লেখকদের জন্য হেমিংওয়ে, গ্রামারলি বা গুগল ডকের মতো টুল খুবই প্রয়োজনীয়। ফ্রিল্যান্সারদের কাজের ধরন এবং ভিন্নতার ওপর নির্ভর করে প্রয়োজনীয় টুল শনাক্ত করতে হবে।