বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তৈরি হালনাগাদ স্মার্টফোনে শক্তিশালী ক্যামেরা যুক্ত থাকায় অনেকেই ভাবেন, ছবি তুললেই সেগুলোর মান ভালো হবে। কিন্তু তা নয়, ভালোমানের ছবি তোলার জন্য ক্যামেরার পাশাপাশি বেশকিছু কৌশলও জানা থাকা দরকার। স্মার্টফোনে ছবি তোলার ছয় দরকারি তথ্য জেনে নেওয়া যাক—
ছবি তোলার সময় প্রথমেই আলোর উৎস কোথায়, তা জানতে হবে। কারণ, স্বাভাবিক আলো ছবির জন্য ভালো। কিন্তু অনেক সময় স্বাভাবিক আলো অন্য বস্তুর ওপর ছায়া ফেলে। এমনকি ছবির পেছনে আলোর পরিমাণ বেশি হলে ক্যামেরার লেন্স ঠিকমতো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা বস্তুর ছবি তুলতে পারে না। তাই আলোর বিপরীত দিকে থাকা ব্যক্তি বা বস্তুর ছবি তুলতে হবে।
প্রতিদিন দীর্ঘসময় হাতে বা পকেটে রাখার ফলে স্মার্টফোনের ক্যামেরার লেন্সে ধীরে ধীরে ময়লা জমে যায়। ফলে ময়লা লেন্সের কারণে ছবি ঘোলা বা ঝাপসা দেখায়। তাই স্মার্টফোনে যত দামি বা ক্ষমতার ক্যামেরাই থাকুক না কেন, নিয়মিত শুকনা কাপড় দিয়ে লেন্স পরিষ্কার করতে হবে। লেন্স পরিষ্কার করার সময় যাতে দাগ না পড়ে সেদিকেও সতর্ক থাকতে হবে।
কয়েক বছর আগেও স্মার্টফোনের ক্যামেরায় অপটিক্যাল জুম সেন্সর ছিল না। এখন অধিকাংশ স্মার্টফোনেই অপটিক্যাল জুম সেন্সরের সুবিধা ব্যবহার করা যায়। এ সেন্সর ব্যবহার করে তোলা ছবির গুণগত মানও ভালো হয়। তাই ছবি তোলার সময় প্রয়োজনে জুম সেন্সর ব্যবহার করতে হবে।
ছবি তোলার সময় স্মার্টফোন স্থির রাখতে হবে। এতে স্মার্টফোনের ক্যামেরা হাতের অবাঞ্ছিত ঝাঁকুনি থেকে রক্ষা পাওয়ায় ক্যামেরার সেন্সরে আলো বেশি প্রবেশ করে। ফলে ছবি আরও নিখুঁত ও দৃষ্টিনন্দন হয়।
বর্তমানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তৈরি হালনাগাদ প্রযুক্তির স্মার্টফোনে একাধিক ক্যামেরায় ওয়াইড, আলট্রাওয়াইড, ম্যাক্রো ও টেলিফটো সেন্সর থাকে। তাই নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা বস্তুর ছবি একই স্থান থেকে না তুলে বিভিন্ন কোণ থেকে তোলা উচিত। বিভিন্ন ধরনের সেন্সরযুক্ত লেন্স থাকায় ভিন্ন ভিন্ন অবস্থানের ছবি অনেক সময় ভালো হয়ে থাকে।
বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও মেশিন লার্নিং (এমএল) প্রযুক্তিনির্ভর বিভিন্ন অ্যাপের সাহায্যে সহজেই ছবির আলো, রং, উজ্জ্বলতাসহ বিভিন্ন বিষয় সম্পদনা করা যায়। তাই ছবি তোলার পর বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে স্মার্টফোনেই সেগুলো সম্পাদনা করতে হবে।
সূত্র: অ্যান্ড্রয়েড পুলিশ ডটকম