ডিজিটাল যুগে অনলাইন সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। শিশুরাও এখন বিভিন্ন সময় অভিভাবকের স্মার্টফোন ব্যবহার করে। তবে শিশুর হাতে স্মার্টফোন থাকলে অনেক ক্ষেত্রেই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরির শঙ্কা থাকে। অনলাইনে সুরক্ষিত রাখতে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির শঙ্কা এড়াতে শিশুর হাতে স্মার্টফোন দেওয়ার আগে পাঁচটি সেটিংস চালু করে রাখতে হবে।
অধিকাংশ যন্ত্রেই প্যারেন্টাল কন্ট্রোল সুবিধা রয়েছে। এ সুবিধা চালু থাকলে নির্দিষ্ট কিছু অ্যাপ, ওয়েবসাইট বা আধেয়ে (কনটেন্ট) যেতে পারবে না শিশুরা। এতে শিশু সুরক্ষিত থাকবে।
কনটেন্ট ফিল্টার সুবিধা ব্যবহার করে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রবেশ, প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রযোজ্য আধেয়ে প্রবেশ সীমাবদ্ধ করা যায়। ফলে শিশু কোনো ক্ষতিকর আধেয় দেখবে না।
ওয়েবসাইট দেখার সফটওয়্যার বা ব্রাউজার ও সার্চ ইঞ্জিনে সেফ সার্চ সেটিংস চালু করতে হবে। ফলে শিশুরা ইন্টারনেট ব্যবহার করলেও সম্ভাব্য ঝুঁকি থেকে সুরক্ষিত থাকবে।
বিভিন্ন অ্যাপ স্মার্টফোনে থাকা বিভিন্ন তথ্য যেমন লোকেশন, কন্টাক্টস, মিডিয়া ফাইলস প্রভৃতিতে প্রবেশ করে তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। কোন অ্যাপ কোন তথ্য সংগ্রহ করতে পারে, তা দেখে নিতে হবে। স্মার্টফোনের তথ্য সংগ্রহে অ্যাপের অনুমতি সীমাবদ্ধ করে দিতে হবে। এতে কোনো ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত থাকবে।
যন্ত্র এবং অ্যাপে স্ক্রিন টাইম লিমিট করা যায়। এর ফলে নির্দিষ্ট সময় পর অ্যাপ ব্যবহার করা যায় না। এটি শিশুকে অতিরিক্ত সময় ধরে স্মার্টফোন ব্যবহার থেকে সুরক্ষিত রাখবে।
সূত্র: গ্যাজেটসনাউ ডটকম