স্মার্টফোনে কল করার পাশাপাশি গান শোনা, ভিডিও দেখা, গেম খেলাসহ দীর্ঘ সময় ইন্টারনেট ব্যবহার করেন অনেকেই। তবে টানা ফোনের পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখের ওপর চাপ পড়ে। শুধু তা-ই নয়, চোখের বড় ধরনের ক্ষতিও হতে পারে। এ সমস্যা সমাধানে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা ফোনে বিভিন্ন ‘ব্লু লাইট ফিল্টার’ সুবিধা ব্যবহার করা যেতে পারে। নাইট লাইট, আই কমফোর্ট, বেডটাইম মোড নামে পরিচিত নীল আলো-প্রতিরোধী ফিল্টারগুলো মূলত ফোনের পর্দার আলোর উজ্জ্বলতা কমিয়ে আনার পাশাপাশি রঙের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এর ফলে তুলনামূলক অন্ধকার স্থানে ফোন ব্যবহারের সময় পর্দায় হালকা হলুদ বা কমলা আভা দেখা যায়, যা চোখের জন্য আরামদায়ক। নীল আলো-প্রতিরোধী ফিল্টারগুলো চালুর পদ্ধতি দেখে নেওয়া যাক।
আই কমফোর্ট নামের নীল আলো-প্রতিরোধী ফিল্টার চালুর জন্য প্রথমে ফোনের সেটিংস অ্যাপে প্রবেশ করতে হবে। এরপর নিচে স্ক্রল করে ডিসপ্লে অপশনে ট্যাপ করতে হবে। এবার ব্রাইটনেসের নিচে থাকা ‘আই কমফোর্ট’ শিল্ডের পাশে থাকা টগলটি চালু করতে হবে। আই কমফোর্ট সুবিধাটি সেটিংস অ্যাপের ডিসপ্লে অপশনে ব্রাইটনেসের নিচে থাকা আই কমফোর্ট শিল্ড টগলে ক্লিক করেও চালু করা যায়।
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ডার্ক মোড ব্যবহার করেও ব্লু লাইট ফিল্টার ব্যবহার করা যায়। এ জন্য ফোনের সেটিংস অ্যাপে প্রবেশ করে ডিসপ্লে নির্বাচন করতে হবে। পরের পৃষ্ঠায় ‘লাইট’ ও ‘ডার্ক’ নামের দুটি অপশন পাওয়া যাবে। এবার ডার্ক মোড অপশনটি নির্বাচন করে ডার্ক মোডের সেটিংস থেকে সময় নির্বাচন করলে নির্দিষ্ট সময় ডার্ক মোড সুবিধা ব্যবহার করা যাবে।
বেডটাইম মোড বা স্লিপ মোড চালু করলে ফোনের পর্দায় ধূসর রং দেখা যায়, যা নীল আলোর নিঃসরণ কমিয়ে আনতে বেশ কার্যকর। এ সুবিধা চালুর জন্য স্মার্টফোন থেকে সেটিংস অ্যাপে প্রবেশ করার পর নিচে স্ক্রল করে ‘ডিজিটাল ওয়েলবিয়িং’ অপশন নির্বাচন করতে হবে। এরপর পরের পৃষ্ঠার নিচে স্ক্রল করে ‘বেডটাইম মোড’ নির্বাচন করতে হবে। তবে বেডটাইম মোড চালু থাকার সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘ডু নট ডিস্টার্ব’ সুবিধাটি চালু হয়ে যায়, ফলে ফোনে নোটিফিকেশন, কল ও বার্তার তথ্য দেখা যায় না।