কথা বলা ও চার্জে থাকা অবস্থায় অনেকেরই স্মার্টফোন গরম হয়ে যায়। কারও আবার ভিডিও দেখার সময় বা গেম খেলতে গেলে এ সমস্যা হয়ে থাকে। অতিরিক্ত গরম হলে প্রয়োজনের সময় স্মার্টফোন ব্যবহারে বেশ সমস্যা হয়। অনেকেই ভাবেন, ব্যাটারির সমস্যার কারণে এমনটি হয়ে থাকে। কিন্তু বিষয়টি তা নয়, বিভিন্ন কারণে স্মার্টফোন গরম হতে পারে।
কম্পিউটারের মতো স্মার্টফোনে কুলিং ফ্যান থাকে না। তাই স্মার্টফোন অতিরিক্ত গরম হলে ব্যাটারি ও যন্ত্রাংশের কার্যকারিতা কমে যায়। এর ফলে ফোনের গতি কমে যাওয়ার কারণে বিভিন্ন অ্যাপ চালু বা বন্ধ হতে সময়ও বেশি প্রয়োজন হয়। শুধু তাই নয়, অনেক সময় ফোন নিজে থেকে বন্ধ হয়ে আবার চালু হয়। অতিরিক্ত গরম হলে স্মার্টফোনের ব্যাটারিসহ স্পর্শনির্ভর পর্দা, মাদারবোর্ড ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
রোদের তাপ ফোন ধরে রাখে, তাই সরাসরি সূর্যের আলোতে ব্যবহার করলে ফোন গরম হয়ে যায়। তাই ফোন গরম হয়ে গেলে দ্রুত ঠান্ডা স্থানে সরিয়ে নিতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভালো মানের ফোনও অতিরিক্ত তাপমাত্রায় একটানা ১০ মিনিট ব্যবহার করলে গরম হয়ে যায়। তাই অতিরিক্ত গরম হয়ে গেলে কিছু সময়ের জন্য ফোন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
উচ্চ রেজল্যুশনের গেম বা আকারে বড় অ্যাপ ব্যবহার করলে ফোন অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়। অনেক সময় একসঙ্গে একাধিক অ্যাপ চালু থাকলেও ফোন গরম হয়। তাই ফোন গরম হয়ে গেলে দ্রুত চালু থাকা অ্যাপগুলো বন্ধ করে দিতে হবে।
অনেকে রাতে ঘুমানোর আগে ফোন চার্জ দিয়ে রাখেন। কিন্তু বাজারে থাকা অধিকাংশ মডেলের ফোন কয়েক ঘণ্টাতেই পুরো চার্জ হয়ে যায়। ফলে অতিরিক্ত চার্জ থেকে অনেক সময় তাপ উৎপন্ন হয়, ফলে ফোন গরম হয়ে যেতে পারে। তাই ফোন অতিরিক্ত গরম হলে দ্রুত চার্জ বন্ধ করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ব্যবহার করতে হবে।
অনেকেই শখের বসে বিভিন্ন রং বা নকশার ফোন কেস ব্যবহার করেন। কিন্তু শক্ত বা বায়ু চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা কেস ব্যবহারের কারণেও অনেক সময় ফোন গরম হয়ে যায়। তাই ফোন অতিরিক্ত গরম হলে ফোনের কেস দ্রুত খুলে ফেলা উচিত। বায়ু চলাচল স্বাভাবিক হলে ফোন দ্রুত ঠান্ডা হয়ে যাবে।
অতিরিক্ত তাপমাত্রা না কমলে ফোন কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখতে হবে। বন্ধ থাকলে ফোনের যন্ত্রাংশগুলো কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এতে ফোন নতুন করে গরম হয় না এবং ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমে যায়।