ভ্রমণের সময় আমরা অনেকেই স্মার্টফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারের পাশাপাশি ছবি তোলাসহ বিভিন্ন কাজ করে থাকি। আর তাই হোটেল বা রেস্তোরাঁয় প্রবেশ করেই চার্জার বা ওয়াই-ফাই পাসওয়ার্ড সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়েন কেউ কেউ। কিন্তু এ অভ্যাসের কারণে স্মার্টফোনে থাকা ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য চুরি হতে পারে। তাই ভ্রমণের সময় স্মার্টফোন নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখার জন্য বিভিন্ন কৌশল মেনে চলা জরুরি। ভ্রমণের সময় স্মার্টফোন নিরাপদ রাখার কৌশলগুলো দেখে নেওয়া যাক।
বেশির ভাগ রেস্তোরাঁ, হোটেল, এয়ারপোর্ট বা সেবাপ্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের জন্য বিনা মূল্যে ওয়াই-ফাই সেবা দিয়ে থাকে। আর তাই বিনা মূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা থাকায় অনেকেই হোটেল বা এয়ারপোর্টের ওয়াই-ফাই সুবিধা ব্যবহার করেন। তবে অনেক সময় পাবলিক ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা যথেষ্ট শক্তিশালী থাকে না। ফলে সাইবার অপরাধীরা সহজেই নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকা স্মার্টফোন থেকে বিভিন্ন তথ্য চুরি করতে পারে। আর তাই ভ্রমণের সময় খুব বেশি প্রয়োজন না হলে পাবলিক ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অনলাইন ব্যাংকিং বা আর্থিক লেনদেন করা যাবে না। পাশাপাশি এইচটিটিপিএস সমর্থন ছাড়া কোনো ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা থেকেও বিরত থাকতে হবে।
ভ্রমণের সময় অনেকে বিমানবন্দর, শপিং মল বা হোটেলের ইউএসবি চার্জার স্টেশন ব্যবহার করে স্মার্টফোন চার্জ করেন। তবে এ ধরনের চার্জার স্টেশন ব্যবহারের ফলে স্মার্টফোনের সব তথ্য সাইবার অপরাধীদের হাতে চলে যেতে পারে। এ ছাড়া বিমানবন্দর ও হোটেলের চার্জার স্টেশন থেকে স্মার্টফোনে ম্যালওয়্যারও প্রবেশ করার শঙ্কা থাকে। আর তাই ভ্রমণের সময় অবশ্যই নিজের স্মার্টফোনের চার্জার ব্যবহার করতে হবে।
ভ্রমণের সময় অনেকেই স্মার্টফোন খোলা জায়গায় বা কারও কাছে রেখে সাঁতারকাটা, খেলাধুলা করার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের কাজ করেন। কিন্তু এতে স্মার্টফোনে থাকা তথ্য চুরি হতে পারে। আর তাই ভ্রমণের সময় অবশ্যই স্মার্টফোনে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। শুধু তা-ই নয়, পাসওয়ার্ডে কখনোই নিজের নাম, পরিচিত ব্যক্তি বা জন্মদিনের তারিখ ব্যবহার করা যাবে না। পাসওয়ার্ড যত জটিল হবে, স্মার্টফোনের নিরাপত্তা ততই শক্তিশালী হবে।
সূত্র: নিউজ১৮ ডটকম