ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইন প্রতারণার ঘটনা বেড়েছে। আর তাই সচেতন না হলে প্রতারণার শিকার হতে পারেন যেকেউ। অনলাইনে ভুয়া বিজ্ঞাপন চেনার পাঁচ কৌশল দেখে নেওয়া যাক—
অনলাইনে দেওয়া ভুয়া বিজ্ঞাপনগুলোতে সাধারণত লোভনীয় অফারের প্রলোভন দেখানো হয়। এ জন্য দ্রুত নির্দিষ্ট পণ্য কিনতে প্রলুব্ধও করে থাকে প্রতারকেরা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বিজ্ঞাপনগুলোতে পণ্য কেনার বা বিভিন্ন সুবিধা পাওয়ার জন্য এক বা দুই ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়। কোনো কোনো বিজ্ঞাপনে বলা হয়, আর মাত্র কয়েকটি পণ্য অবিক্রীত রয়েছে। এখনই কিনুন। এ ধরনের ভাষায় লোভনীয় অফারের বিজ্ঞাপন থেকে সচেতন হতে হবে। এমন বিজ্ঞাপনে থাকা লিংকে ক্লিক করার আগে অবশ্যই বিজ্ঞাপন দেওয়া ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের তথ্য যাচাই করতে হবে।
বাজারমূল্যের থেকে অনেক কম দামে পণ্য বিক্রির বিজ্ঞাপনগুলো থেকে সাবধান থাকতে হবে। প্রতারকেরা সাধারণত বিভিন্ন দামি পণ্য খুব কম দামে বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। এ ধরনের বিজ্ঞাপনে ক্লিক করা থেকে সাবধান থাকতে হবে।
বিজ্ঞাপনে থাকা ওয়েবসাইটের ঠিকানা বা ইউআরএলে যদি এইচটিটিপিএস না থাকে, তবে সাবধান থাকতে হবে। অধিকাংশ ভুয়া বিজ্ঞাপন দাতা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটের ঠিকানা এইচটিটিপি দিয়ে শুরু হয়। এ জন্য ওয়েবসাইটের ইউআরএল যাচাই করে নিতে হবে। অপরদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেওয়া ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের তথ্য যাচাই না করে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
ভুয়া বিজ্ঞাপনগুলোয় সাধারণত শুরুতেই ক্রেতার ব্যাংক কার্ডের তথ্য চাওয়া হয়। বিজ্ঞাপন দেওয়া ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের তথ্য যাচাই না করে কখনোই ব্যাংক কার্ড বা আর্থিক তথ্য দেওয়া যাবে না। এমনটি ঘটলে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পেজে দেওয়া বিজ্ঞাপনগুলোতে যদি মন্তব্য করা না যায়, তবে সাবধান থাকতে হবে। কারণ, ভুয়া বিজ্ঞাপন দেওয়া ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত ক্রেতাদের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার পর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। ফলে চাইলেও অভিযোগ করা যায় না।