স্পাইওয়্যার ছাড়াও স্মার্টফোনের মাইক্রোফোন গোপনে চালু হয়ে ব্যবহারকারীদের কথোপকথন শুনতে পারে
স্পাইওয়্যার ছাড়াও স্মার্টফোনের মাইক্রোফোন গোপনে চালু হয়ে ব্যবহারকারীদের কথোপকথন শুনতে পারে

স্মার্টফোনের মাইক্রোফোন কি গোপনে আপনার কথা শুনছে? পরীক্ষা করবেন যেভাবে

স্মার্টফোনে আড়ি পাততে সক্ষম অ্যাপ বা স্পাইওয়্যারের সাহায্যে নির্দিষ্ট ব্যক্তির অনলাইন বা দৈনন্দিন কার্যক্রমে নজরদারি করে থাকে সাইবার অপরাধীসহ বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান। এ জন্য বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে ফোনে গোপনে স্পাইওয়্যার প্রবেশ করায় তারা। তকে স্পাইওয়্যার ছাড়াও স্মার্টফোনের মাইক্রোফোন গোপনে চালু হয়ে ব্যবহারকারীদের কথোপকথন শুনতে পারে। আর তাই অনেকের মনেই প্রশ্ন, আমার ফোনও কি গোপনে মাইক্রোফোন চালু করে কথা শুনে থাকে? এ প্রশ্নের উত্তর পেতে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের একটি পরীক্ষাপদ্ধতি বাতলে দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান নর্ড ভিপিএনের বিশেষজ্ঞরা।

নর্ড ভিপিএনের তথ্যমতে, এ পরীক্ষাপদ্ধতিতে নির্বাচিত বিষয় নিয়ে কথা বলার কয়েক দিনের মধ্যেই নিজেদের ফোনে সে বিষয়ের বিজ্ঞাপন দেখতে পেয়েছেন গবেষকেরা। এ বিষয়ে নর্ড ভিপিএনের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা মারিজাস ব্রেইডিস বলেন, ‘আমরা এগুলোকে সাধারণ হিসেবে বিবেচনা করি, কিন্তু এতে বোঝা যায় যে আপনি আপনার ফোনকে অপ্রয়োজনীয়ভাবে অতিরিক্ত তথ্য শেয়ারের অনুমতি দিচ্ছেন।’

নর্ড ভিপিএনের পরীক্ষাপদ্ধতিতে মোট চারটি ধাপ রয়েছে। পরীক্ষাটি কারও সাহায্য ছাড়াই যেকোনো ব্যক্তি সহজে করতে পারবেন। পরীক্ষার ধাপগুলো কীভাবে সম্পন্ন করতে হবে, তা জেনে নেওয়া যাক—

প্রথম ধাপ: প্রথমে আপনার আগ্রহ নেই, এমন একটি বিষয় বেছে নিতে হবে। অর্থাৎ আপনি বিষয়টি সম্পর্কে আগে কখনো অনলাইনে অনুসন্ধান বা ফোনের সামনে আলোচনা করেননি।

দ্বিতীয় ধাপ: ফোন কাছাকাছি থাকা অবস্থায় বেশ কয়েক দিন নির্বাচিত বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার আলোচনা করতে হবে। আলোচনার সময় এমন কিছু কি–ওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে, যা সার্চ ইঞ্জিনের অনুসন্ধানে ব্যবহার করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি বিষয়টি হয় ‘আজারবাইজান’, তবে ‘আজারবাইজানে ভ্রমণ’, ‘আজারবাইজানে হোটেল’ অথবা দেশটির নির্দিষ্ট স্থান ও দর্শনীয় স্থানের নাম আলোচনার সময় বলতে হবে।

তৃতীয় ধাপ: ফোনের ব্যবহার স্বাভাবিক রাখুন। শুধু কি–ওয়ার্ডগুলো উচ্চারণ করুন, কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কোনো সার্চ করবেন না।

চতুর্থ ধাপ: কয়েক দিন বা সপ্তাহের মধ্যে লক্ষ করুন, অনলাইন বিজ্ঞাপনের ধরন পরিবর্তিত হয়েছে কি না। এ জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রদর্শিত বিজ্ঞাপনগুলোর দিকে নজর দিন। লক্ষ করুন, আপনার নির্বাচিত বিষয়ের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পর্কিত কোনো বিজ্ঞাপন দেখা যাচ্ছে কি না। উদাহরণস্বরূপ, আপনার বিষয় যদি ‘আজারবাইজান’ হয়, তবে আজারবাইজান–সম্পর্কিত ফ্লাইট অফার বা ভ্রমণ বিজ্ঞাপন দেখতে পারেন। যদি আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর বিজ্ঞাপন বা সহায়ক বিভিন্ন তথ্য অনলাইনে দেখা যায়, তবে বুঝতে হবে আপনার ফোন গোপনে কথোপকথন শুনে থাকে।  

সূত্র: ডেইলি মেইল