ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, স্ন্যাপচ্যাটসহ বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশ-বিভুঁইয়ে থাকা মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি করেন অনেকেই। অপরিচিত মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার আগ্রহ কাজে লাগিয়ে অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ পেতে অর্থ সংগ্রহ করে সাইবার অপরাধীরা। এমনকি ব্ল্যাকমেল করার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সাইবার হামলা চালিয়ে ব্যাংক থেকে অর্থও চুরি করে তারা। তাই বাস্তবজীবনের মতো অনলাইনে বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রেও সচেতন হতে হবে। অনলাইনে বন্ধুত্বের ফাঁদ থেকে বাঁচতে নিচের কৌশলগুলো মেনে চলতে হবে।
ব্যক্তিগত তথ্য জানতে চাওয়া
অনলাইনে হ্যাকাররা সাধারণত ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলে। তারা নিয়মিত বার্তা আদান-প্রদানের মধ্যে সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ করে তোলে। আলাপচারিতার একপর্যায়ে ব্যক্তিগত তথ্য জানার কথা বলে পরিবার, আত্মীয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, বিনিয়োগ প্রভৃতির তথ্য সংগ্রহ করে তারা। পরে এসব তথ্য কাজে লাগিয়ে সাইবার হামলাসহ বিভিন্ন অপরাধ করে। আর তাই অনলাইনে পরিচিত ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত তথ্য জানানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
বিপদগ্রস্ত সেজে অর্থ চাওয়া
বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার পর হঠাৎ করে বিপদে পড়ার কথা বলে অর্থ চেয়ে থাকে প্রতারকেরা। বিশ্বাসযোগ্য করে উপস্থাপন করতে অর্থ ফেরত দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময়ও বেঁধে দেয় তারা। কিন্তু একবার অর্থ দিলেই নিজেদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয় তারা। আর তাই অনলাইনে কাউকে অর্থসহায়তা করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
দামি উপহার দেওয়ার প্রলোভন
প্রতারক ব্যক্তিরা বন্ধুদের দামি উপহার, ভ্রমণসহ বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করে থাকে। এসব উপহার পৌঁছে দেওয়ার জন্য অনলাইনে অর্থ পাঠাতে বলে তারা। তাই প্রকৃত পরিচয় নিশ্চিত না হয়ে কারও সঙ্গেই কোনো আর্থিক লেনদেন করা যাবে না।
ছবি বা ভিডিও শেয়ার নয়
অনলাইনে পরিচিত হওয়া কোনো ব্যক্তিকে ব্যক্তিগত কোনো ছবি বা ভিডিও পাঠানো থেকে সতর্ক থাকতে হবে। প্রতারকেরা এসব ছবি ও ভিডিও কাজে লাগিয়ে পরবর্তী সময়ে ব্ল্যাকমেল করার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা করে থাকে।