পয়সার থেকেও ছোট আকারের নিউক্লিয়ার বা পারমাণবিক শক্তির ব্যাটারি তৈরি করেছে চীনের বেটাভোল্ট টেকনোলজি। ছোট এই ব্যাটারি মুঠোফোনে ব্যবহার করা যাবে। বেটাভোল্টের দাবি, একবার চার্জ করে টানা ৫০ বছর পর্যন্ত এই ব্যাটারি মুঠোফোন চালাতে পারবে। এটি দৈর্ঘ্যে ১৫ মিলিমিটার ও চওড়ায় ১৫ মিলিমিটার। ব্যাটারিটির পুরুত্ব ৫ মিলিমিটার।
বেটাভোল্ট টেকনোলজির তথ্যমতে, পারমাণবিক শক্তির ব্যাটারি তৈরির কার্যক্রম এখনো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। প্রাথমিকভাবে স্মার্টফোন ও ড্রোনের জন্য বাণিজ্যিকভাবে এ ব্যাটারি তৈরি করা হবে। তবে এই ব্যাটারি মহাকাশ গবেষণার কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রের পাশাপাশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, আধুনিক সেন্সর, রোবটসহ বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসাযন্ত্রেও ব্যবহার করা সম্ভব। ২০২৫ সাল থেকে এই ব্যাটারি তৈরির কার্যক্রম শুরু হবে।
জানা গেছে, বেটাভোল্টের পারমাণবিক শক্তির ব্যাটারি থেকে আগুন লেগে যাওয়ার বা বিস্ফোরণের কোনো শঙ্কা নেই। শুধু তা–ই নয়, হিমাঙ্কের নিচে মাইনাস ৬০ ডিগ্রি তাপমাত্রা থেকে সর্বোচ্চ ১২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রাতেও কাজ করতে পারবে ব্যাটারিটি। আর তাই নতুন এ ব্যাটারি তৈরি করা সম্ভব হলে তা ইলেকট্রনিক যন্ত্র চার্জিংয়ে বিপ্লবের সূচনা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর ফলে চার্জার ও বহনযোগ্য পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যাবে। এমনকি অতিরিক্ত চার্জ দেওয়ার ফলে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির ক্ষতি হওয়ার শঙ্কাও কমে যাবে।
বর্তমানে পারমাণবিক শক্তির ব্যাটারি মহাকাশযান, স্বয়ংক্রিয় বৈজ্ঞানিক স্টেশন এবং মার্স রোভারে ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব ব্যাটারির আকার বড়, ওজনও বেশি। এগুলো প্রচুর তাপও উৎপন্ন করে।
বেটাভোল্ট টেকনোলজির পারমাণবিক শক্তির ব্যাটারির তেজস্ক্রিয়তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। আর তাই বাজারে এলেও অনেকে ব্যাটারিটি ব্যবহারে আগ্রহী না–ও হতে পারেন। তবে বেটাভোল্ট বলছে, এই ব্যাটারি নিরাপদ। কারণ, এতে কোনো এক্সটার্নাল রেডিয়েশন বা বাহ্যিক বিকিরণ হবে না। আর তাই এগুলো পেসমেকারের মতো যন্ত্রেও ব্যবহার করা সম্ভব।
সূত্র: টেক রাডার