প্রযুক্তির এই দিনে: ৭ আগস্ট

প্রযুক্তির এই দিনে: ৭ আগস্ট

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালাবামায় উইকিপিডিয়ার সহপ্রতিষ্ঠাতা জিমি ওয়েলেস জন্মগ্রহণ করেন।

৭ আগস্ট ১৯৬৬
উইকিপিডিয়ার জিমি ওয়েলেসের জন্ম
অনলাইনভিত্তিক মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়ার কথা বললেই জিমি ওয়েলসের নাম চলে আসে। জনপ্রিয় এই বিশ্বকোষের সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্কিন–ব্রিটিশ উদ্যোক্তা জিমি ওয়েলস যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালাবামায় জন্মগ্রহণ করেন।
জিমি ডোনাল্ড ওয়েল তাঁর পুরো নাম। উইকিপিডিয়ায় বলা হয়েছে, তিনি জিমবো ওয়েলস নামেও পরিচিত। তিনি একজন ওয়েবমাস্টার। অলাভজনক বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া প্রতিষ্ঠা করে তিনি বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পান। পাশাপাশি তিনি লাভজনক হোস্টিং ফ্যানডম (সাবেক উইকিয়া) চালু করেন। তিনি বমিস, ন্যুপিডয়া, উইকিট্রবিউন, ডব্লিউটি সোশ্যালসহ আরও অনলাইন প্রকল্প নিয়ে কাজ করেছেন।

জিমি ওয়েলস ফিন্যান্স বিষয়ে অবার্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউনিভার্সিটি অব অ্যালাবামা থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। ১৯৯৬ সালে ওয়েলস দুই অংশীদারকে নিয়ে বমিস প্রতিষ্ঠা করেন। শুরুতে এটি প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের ওয়েবসাইট হিসেবে পিরিচিত ছিল। বমিস থেকে ন্যুপিডিয়ার প্রাথমিক অর্থায়ন করা হয় (২০০–২০০৩)।
২০০১ সালের ১৫ জানুয়ারি ল্যারি স্যাঙ্গার এবং আরও কয়েকজনকে নিয়ে উইকিপিডিয়া চালু করনে। মুক্ত আধেয় (ওপেন কনটেন্ট) নিয়ে গড়ে ওঠা এই বিশ্বকোষ দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ওয়েলস হয়ে ওঠেন এর মুখপাত্র ও প্রচারক।

জিমি ওয়েলস

ওয়েলস উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য। এই দাতব্য সংস্থা থেকে তিনি উইকিপিডিয়া পরিচালনা করেন। তাই তাঁকে ‘কমিউনিটি ফাউন্ডার’ পদ দেওয়া হয়েছে। উইকিপিডিয়া তৈরিতে ভূমিকা রাখায় জিমি ওয়েলসকে ২০০৬ সালে বিশ্বখ্যাত টাইম সাময়িকীর করা ‘বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তি’র তালিকায় স্থান পান।
জিমি ওয়েলস ২০০৪ সাল থেকে ফ্যানডম ইনকরপোরেটেডের প্রেসিডন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৩ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত তিনি উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ার এবং এর পর থেকে তিনি উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ার ইমেরিটাস হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জিমি ওয়েলস উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন, ক্রিয়েটিভ কমনসের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। তিনি সানলাইট ফাউন্ডেশন, এমআইটি সেন্টার ফর কালেকটিভ ইন্টেলিজেন্স ও গার্ডিয়ান মিডিয়া গ্রুপের পরিচালনা পর্ষদেও ছিলেন।

৫ টন ওজনের মার্ক–১ কম্পিউটার

৭ আগস্ট ১৯৪৪
হার্ভার্ড মার্ক–১ কম্পিউটার, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আইবিএমের উপহার
যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে আনুষ্ঠানিকভাবে হার্ভার্ড মার্ক–১ কম্পিউটার উপহার দেয় কম্পিউটার নির্মাতা ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিনস (আইবিএম)। এই কম্পিউটারকে তখন ‘জায়ান্ট ব্রেইন’ ডাকা হতো। এই কম্পিউটারের পোশাকি নাম ছিল অটোমেটিক সিকোয়েন্স কন্ট্রোলড ক্যালকুলেটর (এএসসিসি)। আইবিএমের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট থমার জে ওয়াটসন সিনিয়র এটি হার্ভার্ডে হস্তান্তর করেন।
হার্ভার্ড মার্ক-১ প্রথম দিককার ডিজিটাল কম্পিউটারের অন্যতম। রিলেভিত্তিক বিশালাকার এই যন্ত্র গণনাপদ্ধতি নিয়ে অধ্যাপক হাওয়ার্ড আইকেনের গবেষণার ফসল। মার্ক–১ কম্পিউটারে পাঞ্চ কার্ড প্রযুক্তি ও সাধারণ ইলেকট্রনিকসের মিশেল ছিল, যা ওই সময়ে এটিকে অত্যাধুনিক করে তোলে। মার্ক–১ কম্পিউটার দৈর্ঘ্যে ছিল ৫১ ফুট, উচ্চতায় ৮ ফুট আর এর ওজন ছিল পাঁচ টন (পাঁচ হাজার কেজি)।
আইবিএম মার্ক–১ দিয়ে বিশালাকার ক্যালকুলেটর উন্নয়ন শেখে এবং এই দক্ষতা তাদের নিজস্ব সিলেকটিভ সিকোয়েন্স কন্ট্রোলড ক্যালকুলেটরে (এসএসইসি) কাজে লাগায়। একসময় হাওয়ার্ড আইকেন এএসসিসির উদ্ভাবনস্বত্ব দাবি করেন, তখন আইবিএম এসএসইসি প্রকল্প হাতে নিয়েছিল।

প্রথম প্রজন্মের ম্যাক প্রো

৭ আগস্ট ২০০৬
অ্যাপল আনল ম্যাক প্রো
নেটওয়ার্ক পেশাজীবীদের জন্য প্রথমবারের মতো ম্যাক প্রো নামের ওয়ার্কস্টেশন ও সার্ভার বাজারে আনে অ্যাপল কম্পিউটার। এটি ছিল অ্যাপলের সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পিউটার। এখনও এটি অ্যাপলের চার ধরনের ডেস্কটপ কম্পিউটারের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে। বাকি তিনটি পণ্য হলো ম্যাক মিনি, আইম্যাক ও ম্যাক স্টুডিও।

ম্যাক প্রো হার্ডডিস্ক ট্রে

পাওয়ার ম্যাকের বদলে ইন্টেলের প্রসেসরভিত্তিক ম্যাক প্রো তৈরি করে অ্যাপল। দুটি ডুয়াল কোর জিওন প্রসেসর ছিল এটিতে। ২০০৭ সালের ৪ এপ্রিল এটির হালনাগাদ হয়। এরপর ২০০৮ সালে। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে নলাকৃতির (সিলিন্ড্রিক্যাল) ম্যাক প্রো আসে। এতে ১২ কোরের জিওন ই–৫ প্রসেসর ব্যবহার করা হয়।

ম্যাক প্রো এখন

২০১৯ সালে এতে যুক্ত হয় ২৮ কোরের জিওন–ডব্লিউ প্রসেসর, ৮টি পিসিআই স্লট, এএমডি রেডিওন প্রো ভেগা জিপিইউ এবং বেশির ভাগ পোর্ট ইউএসবি সি ও থান্ডারবোল্ট–৩–এ রূপান্তর করা হয়। অ্যাপলের এম–২ আলট্রাচিপের ওপর ভিত্তি করে ২০২৩ সালের ম্যাক প্রোর ডিজাইন ২০১৯ মডেলের মতোই রাখা হয়। তবে এর মাধ্যমে অ্যাপল ইন্টেল থেকে অ্যাপল প্রসেসরে যাত্রা শুরু করে।

সূত্র: কম্পিউটার হিস্ট্রি ডটওআরজি, কম্পিউটার হোপ, উইকিপিডিয়া