মহাকাশযান অ্যাটলান্টিসের উড্ডয়ন। অ্যাটলান্টিস থেকেই প্রথম ই–মেইল পাঠানো হয় পৃথিবীতে
মহাকাশযান অ্যাটলান্টিসের উড্ডয়ন। অ্যাটলান্টিস থেকেই প্রথম ই–মেইল পাঠানো হয় পৃথিবীতে

মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে পাঠানো হলো ই–মেইল

৯ আগস্ট ১৯৯১

মহাকাশযান অ্যাটলান্টিসে থাকা অ্যাপলের তৈরি ম্যাক পোর্টেবল কম্পিউটার ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ই–মেইল পাঠানো হয়।

৯ আগস্ট ১৯২৭

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জনক মারভিন মিনস্কির জন্ম

৯ আগস্ট ১৮৫৯

যুক্তরাষ্ট্রের পেটেন্ট অফিস থেকে প্রথম পেটেন্ট পেল নিরাপদ এলিভেটর বা লিফট।

৯ আগস্ট ১৯৯১
মহাকাশ থেকে পাঠানো হলো প্রথম ই–মেইল
মহাকাশযান অ্যাটলান্টিসে থাকা অ্যাপল কম্পিউটারের তৈরি ম্যাক পোর্টেবল কম্পিউটার ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ই–মেইল পাঠানো হয়। আটলান্টিসের দুই নভোচারী জেমস অ্যাডামসন ও শ্যানন লুসিড ই–মেইলে লেখেন ‘হ্যালো পৃথিবী! এসটিএস–৪৩ ক্রুদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা। মহাকাশ থেকে এটিই প্রথম অ্যাপল লিংক। তোমাদের খুব ভালো সময় প্রত্যাশা করছি এখান থেকে। আরও বাতাস ও জ্বালানি পাঠাও! হাস্তা লা ভিস্তা, বেবি... (১৯৯১ সালের ‘টারমিনেটর–২’ চলচ্চিত্রে আর্নল্ড শোয়ার্জনিগারের একটি সংলাপ, যার মানে ‘আপাতত বিদায়’)। আমরা ফিরে আসব।’

অ্যাপলের ম্যাক পোর্টেবল

মহাকাশ থেকে প্রথম ই–মেইলটি পাঠানো হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের হিউস্টনের জনসন স্পেস সেন্টারে। অ্যাপলের অনলাইন সেবা অ্যাপল লিংকের মাধ্যমে এটি পাঠানো হয়েছিল। অ্যাপল লিংক ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট ম্যানেজার মাইকেল এলিয়ট সিলভারের ভাষ্যমতে, প্রথম দুইবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। একটি এরর বার্তা দেখা যায়, যাতে লেখা ছিল ‘মডেমপুল সাড়া দিচ্ছে না’।
অ্যাপলের এই ম্যাক পোর্টেবল কম্পিউটার মহাকাশ অভিযানের জন্য তৈরি বিশেষ কোনো কম্পিউটার ছিল না। এটি ডিস্ক অপারেটিং সিস্টেমে (ডস) সাধারণ ল্যাপটপ ছিল। এর ওজন ছিল ৭ কেজি ৩০০ গ্রাম।

মারভিন মিনস্কি

৯ আগস্ট ১৯২৭
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জনক মারভিন মিনস্কির জন্ম
কম্পিউটারবিজ্ঞানের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই, জ্ঞানভিত্তিক মনোবিজ্ঞান, গণিত, কম্পিউটেশনাল ভাষাতত্ত্ব, রোবটবিজ্ঞান ও অপটিকসে ব্যাপক অবদান রাখেন মারভিন মিনস্কি। ১৯২৭ সালে তিনি লেখেন বিখ্যাত ‘দ্য সোসাইটি অব মাইন্ড’ বই। মিনস্কি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যায় থেকে গণিতে স্নাতক এবং প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। প্রিন্সটনে তিনি ‘র‌্যাট–ইন–আ–মেজ’ নামের নিউরাল নেটওয়ার্ক সিমুলেটর তৈরির স্বপ্ন দেখেন, যা পরে স্টক্যাস্টিক নিউরাল অ্যানালগ রি–এনফোর্সমেন্ট ক্যালকুলেটর (এসএনএআরসি) নামে ডিন এডমন্ডসের সহায়তায় মিনস্কি তৈরি করেন।

দ্য মিনস্কিট্রন বা ত্রিস্থানিক ডিসপ্লে

মিনস্কি যান্ত্রিক হাত, কনফোকাল স্ক্যানিং মাইক্রোস্কোপ, সুরে ভিন্নতা আনার মিউজ সিন্থেসাইজার (এড ফ্রেডকিনের সঙ্গে যৌথভাবে), প্রথম লোগো টার্টল (সেইমোর প্যাপার্টের সঙ্গে যৌথভাবে) এবং আরও রোবটিক যন্ত্র উদ্ভাবন করেন। এরপর তিনি কম্পিউটার ও মানুষের সাধারণ বোধ বিষয় নিয়ে কাজ করেন।
মারভিন মিনস্কিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জনক বলা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটিতে মারভিন মিনস্কির জন্ম। ৮৮ বছর বয়সে ২০১৬ সালের ২৪ জানুয়ারি তিনি মারা যান।

পেটেন্ট পাওয়া প্রথম লিফটের নকশা

৯ আগস্ট ১৮৫৯
এলিভেটরের প্রথম পেটেন্ট
যুক্তরাষ্ট্র পেটেন্ট অফিস থেকে প্রথম পেটেন্ট পেল নিরাপদ এলিভেটর বা লিফট। ১৮৫২ সালে ব্যবসায়ী ও উদ্ভাবক এলিশা ওটিস প্রথম নিরাপদ এলিভেটর তৈরি করেন। চলাচলের সময় কোনো কারণে তার ছিঁড়ে গেলেও এই লিফটের খাঁচা মাটিতে আছড়ে পড়বে না। ওটিস এই এলিভেটর নিউইয়র্ক সিটির ৪৮৮ ব্রডওয়েতে স্থাপন করেন। ১৮৫৭ সালের ২৩ মার্চ এটি চালিয়ে দেখেন।

এলিশা ওটিস

১৮৫৯ সালের ৯ আগস্ট ওটিসের এলিভেটর ৩১১২৮ নম্বর পেটেন্ট পায়। এলিশা ওটিসের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে ১৮১১ সালের ৩ আগস্ট। তিনি ওটিস এলিভেটর কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা। ১৮৬১ সালের ৮ এপ্রিল তিনি মারা যান।

কম্পিউটার হিস্ট্রি ডটওআরজি, কম্পিউটার হোপ