ব্যবহারকারীদের হৃৎস্পন্দনসহ স্বাস্থ্যের বিভিন্ন তথ্য জানানোর পাশাপাশি হাঁটা বা শারীরিক পরিশ্রমের সময় কত ক্যালরি খরচ করছে, তার হিসাবও দিতে পারে স্মার্ট ঘড়ি। আর তাই সময় দেখার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিষয়ক বিভিন্ন তথ্য জানতে অনেকেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তৈরি স্মার্ট ঘড়ি ব্যবহার করেন। তবে সাম্প্রতিক এ গবেষণায় বলা হয়েছে, স্মার্ট ঘড়ির দেওয়া স্বাস্থ্যতথ্যের ওপর পুরোপুরি নির্ভর করা উচিত নয়। এসব স্মার্ট প্রযুক্তিপণ্য আমাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা দেয়। শুধু তা-ই নয়, তথ্যে ভুল থাকারও ঝুঁকি থাকে।
গবেষণার তথ্যমতে, স্মার্ট ঘড়ির পরিসংখ্যানগত তথ্য প্রায়ই ত্রুটিপূর্ণ থাকে। বেশির ভাগ পরিধানযোগ্য যন্ত্র হৃদ্যন্ত্রের গতি মাপার ক্ষেত্রে তিন শতাংশের মতো ভুল করে থাকে। এই ত্রুটিবিচ্যুতির মধ্যেও স্মার্ট ঘড়ি হৃদ্যন্ত্রের গতির পরিবর্তন ও অনিয়মিত হৃৎস্পন্দনের সম্ভাব্য লক্ষণ শনাক্ত করতে পারে।
স্মার্ট ঘড়ি ব্যবহারকারীদের ক্যালরি খরচের যে তথ্য দেখায়, সেগুলোর ক্ষেত্রেও ১৫ থেকে ২১ শতাংশ ভুল হয়ে থাকে। এর ফলে যাঁরা ওজন কমানোর তথ্য জানতে স্মার্ট ঘড়ি ব্যবহার করেন, তাঁদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব তৈরি হতে পারে। এমনকি ব্যবহারকারীদের ঘুমের সময়-সংক্রান্ত তথ্যাদিও ১০ শতাংশ ভুল দেখায় স্মার্ট ঘড়ি। আর তাই স্মার্ট ঘড়ির দেখানো স্বাস্থ্যতথ্য পুরোপুরি বিশ্বাস করা উচিত নয়। গবেষকদের মতে, ঘুমের ধরন, হৃৎস্পন্দন, রক্তের অক্সিজেনের মাত্রা, হাঁটার দূরত্ব গণনা এমনকি রক্তচাপের তথ্য জানা গেলেও চিকিৎসা কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রের বিকল্প নয় স্মার্ট ঘড়ি।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও এবিসি