আইজ্যাক আসিমভ
আইজ্যাক আসিমভ

প্রযুক্তির এই দিনে: ২ জানুয়ারি

আইজ্যাক আসিমভের জন্ম

বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞান কল্প–কাহিনী লেখক আইজ্যাক আসিমভ রাশিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণরসায়ন বিষয়ের অধ্যাপক ছিলেন।

২ জানুয়ারি ১৯২০
আইজ্যাক আসিমভের জন্ম
বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞান কল্পকাহিনি লেখক আইজ্যাক আসিমভ রাশিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। পরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নেন। তিনি বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণরসায়ন বিষয়ের অধ্যাপক ছিলেন। আসিমভকে বিজ্ঞান কল্পকাহিনি ‘বিগ থ্রি’ লেখকদের একজন হিসেবে গণ্য করা হয়। বাকি দুজন হলেন রবার্ট এ হেইনলিন ও আর্থার সি ক্লার্ক।

ফাউন্ডেশন সিরিজের একটি বই

আইজ্যাক আসিমভ ৫০০–এর বেশি বই লিখেছেন বা সম্পাদনা করেছেন। আনুমানিক ৯০ হাজার চিঠি ও পোস্টকার্ড লিখেছেন তিনি। যদিও কিছু রহস্য ও কাল্পনিক কাহিনি লিখেছেন, তবে আসিমভ বেশি খ্যাতি পেয়েছেন বিজ্ঞানভিত্তিক কাহিনি লিখে। আসিমভের সবচেয়ে বিখ্যাত কাজ ‘দি ফাউন্ডেশন’ সিরিজ। এর প্রথম তিনটি বই ১৯৬৬ সালে সর্বকালের সেরা সিরিজ হিসেবে হুগো পুরস্কার পায়। এ ছাড়া তাঁর লেখা গ্যালাকটিক এম্পায়ার ও রোবট সিরিজের বইগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।

আসিমভ বিজ্ঞানবিষয়ক অনেক বই লিখেছেন। জনপ্রিয় সেই বইগুলোর বেশির ভাগে তিনি খুব সহজ ভাষায় বিজ্ঞানের নানা বিষয় বুঝিয়েছেন। এর মধ্যে গাইড টু সায়েন্স, আন্ডারস্ট্যান্ডিং ফিজিকস, আসিমভ’স ক্রোনোলজি অব সায়েন্স ও ডিসকভারি উল্লেখযোগ্য। তিনি রসায়ন, জ্যোতির্বিদ্যা, গণিত, ইতিহাস বিষয়ে লিখেছেন এবং বাইবেলের ব্যাখ্যা ও সাহিত্য সমালোচনাও লিখেছেন তিনি।

তরুণ আসিমভ

আসিমভ আমেরিকান হিউম্যানিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তাঁকে সম্মান জানিয়ে একটি গ্রহাণুর (৫০২০) নামকরণ হয় আসিমভ। হোন্ডার মানবাকৃতির রোবটের নাম রাখা হয় আসিমো। মঙ্গল গ্রহের একটি গুহার নামও রাখা হয়েছে আসিমভের নামে। ব্রুকলিনের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামও রাখা হয়েছে তাঁর নামে। ১৯৯২ সালের ৬ এপ্রিল আইজ্যাক আসিমভ মারা যান।

পল অ্যালেন ও বিল গেটস

২ জানুয়ারি ১৯৭৫
বিল গেটস ও পল অ্যালেন তাঁদের কোম্পানির নাম দেন মাইক্রো–সফট
শীর্ষ সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটের দুই প্রতিষ্ঠাতা প্রথম আনুষ্ঠানিক চিঠিতে তাঁদের কোম্পানির নাম লেখেন ‘মাইক্রো–সফট (Micro-Soft)’ বানানে। গেটস ও অ্যালেন নিউ মেক্সিকোর অ্যালটেয়ার কম্পিউটারের নির্মাতা এমআইটিএসকে অ্যালটেয়ার ৮৮০০ কম্পিউটারের জন্য বেসিক সফটওয়্যার তৈরির একটি লিখিত প্রস্তাব দেন। সেই চিঠিতে তাঁদের কোম্পানির নাম ‘মাইক্রো–সফট’ উল্লেখ করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে মাঝখানের হাইফেন চিহ্ন উঠে গিয়ে কোম্পানির নাম হয় মাইক্রোসফট। এখনো তা–ই রয়েছে।