দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়া মাই ডুম ভাইরাসে ৫ কোটি কম্পিউটার আক্রান্ত হয়।
সান মাইক্রোসিস্টেমসের মাইক শেরিড্যান, জেমস গজলিং ও প্যাট্রিক নটন জাভা সফটওয়্যার প্রযুক্তির উন্নয়ন শুরু করেন।
অনলাইনে আউটসোর্সিং কাজ দেওয়া–নেওয়ার জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস ফাইভআর ডট কম চালু হয়।
১ ফেব্রুয়ারি ২০০৪
মাই ডুম ভাইরাসে ৫ কোটি কম্পিউটার আক্রান্ত
এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া কম্পিউটার ভাইরাস হিসেবে ধরা হয় মাই ডুমকে। কারিগরিভাবে এটি আসলে ছিল কম্পিউটার ওয়ার্ম। যা ইন্টারনেটে সংযুক্ত কম্পিউটারে নিজে নিজে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
মাই ডুম ওয়ার্ম ৫ কোটি কম্পিউটারে ছড়িয়ে পড়েছিল। ফলে আনুমানিক ৩ হাজার ৮০০ কোটি মার্কিন ডলারের ক্ষতি হয়েছিল। ই–মেইলের সংযুক্ত ফাইলের (অ্যাটাচমেন্ট) মাধ্যমে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমচালিত কম্পিউটার ও অন্যান্য যন্ত্রে এই ওয়ার্ম ছড়িয়ে পড়েছিল।
১ ফেব্রুয়ারি ১৯৯১
সান মাইক্রোসিস্টেমসে জাভার উন্নয়ন শুরু
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সান মাইক্রোসিস্টেমস ইনকরপোরেটেডের তিন প্রকৌশলী মাইক শেরিড্যান, জেমস গজলিং ও প্যাট্রিক নটন জাভা সফটওয়্যার প্রযুক্তির উন্নয়ন শুরু করেন। এটির সাংকেতিক নাম ছিল ‘স্টার সেভেন’। জাভার অ্যাসপেন গ্রাফিকস সিস্টেম নিয়ে কাজ করেছেন নটন, গজলিং প্রোগ্রামিং ভাষা নিয়ে ভেবেছেন এবং শেরিড্যানের দায়িত্ব ছিল ব্যবসা উন্নয়নের।
১ ফেব্রুয়ারি ২০১০
ফ্রিল্যান্সিংয়ের অনলাইন মার্কেটপ্লেস ফাইভআর চালু
অনলাইনে মুক্ত পেশাজীবীদের (ফ্রিল্যান্সার) জন্য আউটসোর্সিং কাজ দেওয়া–নেওয়ার জনপ্রিয় ওয়েবসাইট বা মার্কেটপ্লেস ফাইভআর ডট কম চালু হয়। এই সাইটের মাধ্যমে ক্রেতারা নির্দিস্ট কাজের জন্য ফ্রিল্যান্সারের খোঁজ করেন এবং কাজ দিয়ে থাকেন। আবার নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষ কর্মীরা এখানে কাজ খুঁজে পান। মিচে কাফম্যান ও শাই উইনিঙ্গার ২০১০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে ফাইভআর প্রতিষ্ঠা করেন।
ফাইভআর বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ের বৈশ্বিক মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১৬০টি দেশে এর কার্যক্রম বিস্তৃত। বর্তমানে এটি কয়েক শ কোটি ডলারে কাজ আদান–প্রদানের মার্কেটপ্লেস। বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের কাছেও জনপ্রিয় ফাইভআর ডট কম। বাংলাদেশে ফাইভআরের কমিউনিটি লিডারশিপ টিমের তথ্য অনুযায়ী, এই মার্কেটপ্লেসে বাংলাদেশ থেকে নিবন্ধিত অ্যাকাউন্টের সংখ্যা প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার। অন্তত একটি কাজ করেছেন ফাইভআরে, বাংলাদেশ থেকে এমন ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ। এখন সক্রিয় বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা ২৫ থেকে ৩০ হাজার।