টমাস আলভা এডিসন
টমাস আলভা এডিসন

প্রযুক্তির এই দিনে: ১১ ফেব্রুয়ারি

বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসনের জন্ম

নিজের সময়ের অন্যতম সেরা বিজ্ঞানী, উদ্ভাবক ও ব্যবসায়ী টমাস আলভা এডিসন যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের মিলানে জন্মগ্রহণ করেন। এডিসন বিদ্যুৎ উৎপাদন, গণযোগাযোগ, শব্দ ধারণ ও চলচ্চিত্র ক্ষেত্রে অনেক যন্ত্র তৈরি করেছেন।

১১ ফেব্রুয়ারি ১৮৪৭
বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসনের জন্ম
নিজের সময়ের অন্যতম সেরা বিজ্ঞানী, উদ্ভাবক ও ব্যবসায়ী টমাস আলভা এডিসন যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের মিলানে জন্মগ্রহণ করেন। এডিসন বিদ্যুৎ উৎপাদন, গণযোগাযোগ, শব্দ ধারণ ও চলচ্চিত্র ক্ষেত্রে অনেক যন্ত্র তৈরি করেছেন। তিনি ফোনোগ্রাফ, চলমান ছবি তোলার ক্যামেরা ‘কাইনোটোস্কোপ’, বৈদ্যুতিক বাতি ইত্যাদির উদ্ভাবক। শিল্পসমৃদ্ধ বিশ্বে তাঁর উদ্ভাবনের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। তিনিই প্রথম উদ্ভাবক, যিনি বিজ্ঞানের সূত্র ও দলগত কাজকে উদ্ভাবন প্রক্রিয়ায় প্রয়োগ করেন। এডিসনই প্রথম বিদ্যুৎ উৎপাদন করে আবাসনে, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও শিল্পকারখানায় সরবরাহ করার ধারণা দেন। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান জেনারেল ইলেকট্রিকসহ ১৪টি কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন এডিসন।

মেনলো পার্কে এডিসনের প্রতিষ্ঠিত গবেষণাগার। ১৮৮০

পেশাজীবনের শুরুতে টমাস আলভা এডিসন টেলিগ্রাফ অপারেটর হিসেবে কাজ করেছেন। এই পেশা তাঁকে তাঁর প্রথম দিককার উদ্ভাবনগুলোতে অনুপ্রেরণা দেয়। ১৮৭৬ সালে তিনি নিউ জার্সির মেনলো পার্কে তাঁর প্রথম গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করেন। এই গবেষণাগার থেকেই এডিসন অনেক যন্ত্র উদ্ভাবন করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ফ্লোরিডার ফোর্ট মেয়ারসে ব্যবসায়ী হেনরি ফোর্ড ও হার্ভে এস ফায়ারস্টোনের সঙ্গে উদ্ভিদবিজ্ঞানের গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁরা নিউ জার্সির অরেঞ্জেও একটি গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সেখানে ছিল বিশ্বের প্রথম ফিল্ম স্টুডিও ‘ব্ল্যাক মারিয়া’। মার্কিন পেটেন্ট অফিস থেকে ১ হাজার ৯৩টি পেটেন্ট স্বত্ব টমাস আলভা এডিসনকে প্রদান করা হয়েছে। অন্যান্য দেশ থেকেও পেয়েছেন অসংখ্য পেটেন্ট। এডিসনকে আমেরিকার ইতিহাস সবচেয়ে বেশি ফলপ্রসূ উদ্ভাবক হিসেবে গণ্য করা হয়।  এডিসন ব্যক্তিগত জীবনে দুবার বিয়ে করেছন, তাঁর সন্তানের সংখ্যা ৬। ডায়াবেটিস জটিলতায় ভুগে ১৯৩১ সালের ১৮ অক্টোবর মারা যান টমাস আলভা এডিসন।  

উবুনটুতে চলা প্রথম স্মার্টফোন

১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
উবনটুতে চলল প্রথম মুঠোফোন
উন্মুক্ত প্রোগ্রামিং সংকেতের (সোর্সকোড) জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম উবুনটু প্রথমবারের মতো স্মার্টফোনে ব্যবহার করা হয়। এই ফোনটি ছিল বিকিউ অ্যাকুয়ারিস ই৪.৫। স্পেনের ফোন নির্মাতা বিকিউ উবুনটু চালিত ফোনটি বাজারে আনে। এতে উবুনটুর টাচ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছিল। এর পরে বিকিউ অ্যাকুয়ারিস ই৫ স্মার্টফোন প্রথমে অ্যান্ড্রয়েড ও পরে উবুনটু টাচ দিয়ে বাজারে আনে।