ডিজিটাল সামিট ২০২২

ডিজিটাল খাতে রয়েছে অপার সম্ভাবনা

ডিজিটাল সামিটের একটি অধিবেশনে বক্তারা
ডিজিটাল সামিটের একটি অধিবেশনে বক্তারা

সারা বিশ্বই ডিজিটালের দিকে ঝুঁকছে। যত দ্রুত যারা ডিজিটাল প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জন করতে পারবে, তারা তত বেশি ভালো করবে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে বাংলাদেশকে ডিজিটাল খাতের জন্য দক্ষ জনবল তৈরি করতে হবে; তবেই বাংলাদেশ এই খাতে এগিয়ে যাবে। আজ শনিবার ঢাকার একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘ডিজিটাল সামিট ২০২২’-এ বক্তারা এসব কথা বলেন।

ডিজিটাল যুগের অপার সম্ভাবনাকে সুদৃঢ় করার প্রচেষ্টায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে ছিল চারটি মূল অধিবেশন, চারটি প্যানেল ডিসকাশন, দুটি ইনসাইট সেশন ও একটি কেস স্টাডি।

সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের পরিচালক ও ক্রিয়েটিভ এডিটর নাজিয়া আন্দালিব বলেন, ‘করোনা–পরবর্তী বাস্তবতা ডিজিটাল বিশ্বের প্রকৃত সম্ভাবনাকে আমাদের কাছে উন্মোচন করেছে। তাই এখনই উপযুক্ত সময় ডিজিটাল বিশ্বের সুবিধাগুলোকে সঠিকভাবে প্রয়োগ করা। তবে কোনো সুবিধাই কিছু চ্যালেঞ্জ ছাড়া আসে না। তাই বিশেষজ্ঞদের একটি প্রধান দায়িত্ব থাকবে এসব চ্যালেঞ্জকে সঠিকভাবে মোকাবিলা করা।’

ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বা প্রাইভেসি নিয়ে আলোচনায় মিডিয়াম গ্রুপ বাই আলেফ পার্টনার ডিরেক্ট ম্যাথিউ ব্রুনিয়ার বলেন, প্রাইভেসি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, ব্যবহারকারীরা এ ব্যাপারে সচেতন। ৬৪ শতাংশ ব্যবহারকারীই ডেটার বিষয়ে কোম্পানির দেওয়া তথ্যের ওপর নির্ভর করে না। প্রাসঙ্গিক এবং প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতার জন্য ডেটা বা উপাত্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে একটি প্ল্যাটফর্ম নিরপেক্ষ কৌশল নির্ধারণ করা এবং সেই অনুযায়ী প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করা। সম্মেলনের বিভিন্ন আলোচনায় প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠে ডিজিটাল বৈষম্য, এই সময়ে সৃজনশীলতা ও কৌশলে গুরুত্ব, বিপণনের কাজে সম্পদ হিসেবে ডেটার গুরুত্ব, দীর্ঘকালীন ইনফ্লুয়েন্সার পার্টনারশিপের অপরিহার্যতা এবং মেটাভার্সে ব্র্যান্ড মার্কেটিংয়ের সমূহ সম্ভাবনা।  

ডিজিটাল সামিট ২০২২–এ বক্তা হিসেবে আরও ছিলেন এইচটিটিপুল বাংলাদেশ লিমিটেডের কান্ট্রি ডিরেক্টর কাজী মনিরুল কবির, গ্রামীণফোন লিমিটেডের চিফ ডিজিটাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজি অফিসার সোলায়মান আলম, প্রথম আলোর হেড অব ডিজিটাল বিজনেস জাবেদ সুলতানসহ অনেকে।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ বছরের সামিটে ৩৫০ জনেরও বেশি পেশাজীবী অংশগ্রহণ করেছেন। সামিটের প্রধান লক্ষ্য ছিল ডিজিটাল বিপণনশিল্পের চ্যালেঞ্জগুলোকে বিশেষজ্ঞ আলোচনার মাধ্যমে তুলে ধরা এবং অভিজ্ঞতা, জ্ঞান ও মত বিনিময়ের মাধ্যমে সম্ভাবনাময় এই শিল্প এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ধারা বজায় রাখা।

ডিজিটাল সামিট ২০২২-এর আয়োজক বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম। এটি পরিবেশন করেছে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ। পৃষ্ঠপোষক ছিল এইচটিটিপুল বাংলাদেশ লিমিটেড। এ ছাড়া সহযোগিতা করেছে দ্য ডেইলি স্টার, অ্যাডজাস্ট, অ্যাডফিনিক্স, এস্কিমি, বাংলাদেশ ক্রিয়েটিভ ফোরাম, মিডিয়াম গ্রুপ বাই আলেফ, মার্কেটিং সোসাইটি অব বাংলাদেশ ও আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেড।