নারীর বয়স আর পুরুষের বেতনের কথা জিজ্ঞেস করতে হয় না। তবে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রামের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গের বেতন নিয়ে অনেকেরই আগ্রহ আছে। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের বেতন মানেই আমরা মনে করি লাখ লাখ ডলার বেতন পান তাঁরা। বাস্তবে তা নয়, মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে জাকারবার্গ বছরে বেতন পান মাত্র ১ ডলার। এক দশক আগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা ১ ডলার বেতন নেওয়ার প্রচলন শুরু করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের তথ্যমতে, জাকারবার্গের বেতন বছরে ১ ডলার। আর বার্ষিক আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধার আর্থিক পরিমাণ প্রায় ২ কোটি ৪৪ লাখ মার্কিন ডলার। প্রতি মাসে ১ ডলার বা ১১০ টাকা বেতন পেলেও মেটার কাছ থেকে বছরে ২৭৪ কোটি টাকার বিভিন্ন সুবিধা পেয়েছেন জাকারবার্গ। বিপুল পরিমাণ এ অর্থের বেশির ভাগই জাকারবার্গের নিরাপত্তার জন্য খরচ করা হয়েছে। শুধু তা–ই নয়, ব্যক্তিগত বিমান ব্যবহারের জন্য বছরে প্রায় ১০ লাখ ডলারও পান জাকারবার্গ।
২০২৩ সালে ডলার স্যালারি ক্লাবের ধারণা প্রযুক্তিবিশ্বে বেশ জনপ্রিয়তা পায়। অ্যাপলের স্টিভ জবস, গুগলের ল্যারি পেইজ, ওরাকলের ল্যারি এলিসনের মতো আলোচিত প্রযুক্তি উদ্যোক্তারা ১ ডলারের বেতন গ্রহণ করতেন। জাকারবার্গ মূলত তাঁদেরই অনুসরণ করেন। জাকারবার্গ ১ ডলার বেতন পেলেও ফেসবুকের প্রকৌশলীরা গড়ে প্রতিবছর ৭ লাখ ৬৫ হাজার ডলার বেতন পেয়ে থাকেন।
২০২৩ সালে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রামসহ অন্যান্য খাত থেকে মেটা মোট আয় করেছে ১৩ হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার। ২০২৪ সালে বিনিয়োগকারীদের ১২৫ কোটি ডলার লভ্যাংশ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। মেটায় জাকারবার্গের ৩৫ কোটি শেয়ার আছে। সেই হিসাবে মেটার কাছ থেকে ২০২৩ সালে ৭০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি লভ্যাংশ পেয়েছেন মার্ক জাকারবার্গ।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, সিএনবিসি, ফরচুন