টিম বার্নার্স–লি ওয়েবে প্রথম এই ওয়েবসাইট প্রকাশ করেন
টিম বার্নার্স–লি ওয়েবে প্রথম এই ওয়েবসাইট প্রকাশ করেন

ওয়েবে প্রথম ওয়েবসাইট প্রকাশ করলেন টিম বার্নার্স–লি

৬ আগস্ট ১৯৯১

১৯৯১ সালের ৬ আগস্ট সার্নে বসে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবে প্রথম ওয়েবসাইট প্রকাশ করলেন টিম বার্নার্স–লি।

৬ আগস্ট ১৯৯৭

অ্যাপল কম্পিউটারকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে মাইক্রোসফট করপোরেশন অ্যাপলের ১৫ কোটি ডলারের শেয়ার কিনে নেয়।

৬ আগস্ট ১৯৬৩

কম্পিউটার নিরাপত্তা পরামর্শক, লেখক ও হ্যাকার কেভিন মিটনিক যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন।

৬ আগস্ট ১৯৯১
ওয়েবে প্রথম ওয়েবসাইট প্রকাশ করলেন টিম বার্নার্স–লি
১৯৮৯ সালের মার্চে স্যার টিম বার্নার্স–লি সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় তাঁর কর্মস্থল ইউরোপিয়ান কাউন্সিল ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ—সার্নে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (ডব্লিউডব্লিউডব্লিউ) উদ্ভাবন করেন। এর দুই বছর পর ১৯৯১ সালের ৬ আগস্ট সার্নে বসেই ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব সবার জন্য উন্মুক্ত করেন এবং নিজেই প্রথম ওয়েবসাইটটি প্রকাশ করেন। সেই সাইটটির ঠিকানা ছিল http://info.cern.ch।

স্টিভ জবসের ডিজাইন করা এই নেক্সট কম্পিউটার পৃথিবীর প্রথম ওয়েব সার্ভার

১৯৯০ সালের শেষভাগ থেকে সার্নে বার্নার্স–লি অ্যাপলের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের ডিজাইন করা নেক্সট কম্পিউটার ব্যবহার শুরু করেন। এই কম্পিউটারে ওয়েবসাইট তৈরির জন্য হাইপারটেক্সট মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজসহ (এইচটিএমএল) ওয়েবের মূল প্রযুক্তির ভিত ছিল। এতে ওয়েবের মাধ্যমে ডেটা বা তথ্য আদান–প্রদান এবং ইউনিফর্ম রিসোর্স লোকেটর (ইউআরএল) বা ওয়েব ঠিকানা দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল, যাতে তথ্যের পৃষ্ঠা খুঁজে পাওয়া যায়। স্টিভ জবস এই কম্পিউটারে প্রাথমিক একটি ব্রাউজার ও ওয়েব সার্ভার সফটওয়্যারও দিয়ে দিয়েছিলেন।

ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের ঐতিহাসিক লোগো। সার্নের কম্পিউটার বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলী রবার্ট ক্যালিও এর নকশা করেন

যখন টিম বার্নার্স–লি প্রথম ওয়েবসাইট প্রকাশ করলেন, তখনই ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব সবার জন্য উন্মুক্ত হলো। প্রথম ওয়েবসাইট হোস্ট করা হলো সার্নে বার্নার্স–লির নেক্সট কম্পিউটারে।

অ্যাপলের সেই রঙিন লোগো

৬ আগস্ট ১৯৯৭
বিপদে অ্যাপল, ১৫ কোটি ডলারের শেয়ার কিনল মাইক্রোসফট
অ্যাপল কম্পিউটারকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসে শীর্ষ সফটওয়্যার নির্মাতা মাইক্রোসফট করপোরেশন। অ্যাপলের ১৫ কোটি ডলারের শেয়ার কিনে নেয় মাইক্রোসফট। সেই সময় একচেটিয়া ব্যবসা করার অভিযোগে মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে অ্যান্টিট্রাস্ট মামলা চলছিল। প্রচলিত আছে, মাইক্রোসফট নিয়ে হওয়া ব্যাপক সমালোচনাকে একটু দূরে ঠেলতে এই কৌশল অবলম্বন করে বিল গেটসের প্রতিষ্ঠানটি। অ্যাপল তখন টাকা কয়েক বছর লোকসান দিচ্ছিল এবং সঠিক নির্দেশনার অভাবে কোম্পানি পরিচালনায় সমস্যা হচ্ছিল। তাই অ্যাপল পুঁজি জোগাড় করতে মাইক্রোসফটের সঙ্গে কম্পিউটারের ডিজাইন ও কিছু পেটেন্ট ভাগাভাগি করতে রাজি হয়ে যায়। আর মাইক্রোসফট মেকিন্টোশ কম্পিউটারের জন্য তাদের জনপ্রিয় গুচ্ছ সফটওয়্যার এমএস অফিসের মেয়াদ পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য বাড়িয়ে দেয়।

কেভিন মিটনিক, ২০১০

৬ আগস্ট ১৯৬৩
কেভিন মিটনিকের জন্ম
কম্পিউটার নিরাপত্তা পরামর্শক, লেখক ও হ্যাকার কেভিন মিটনিক যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। মিটনিক ‘কনডোর’ ডাকনামেও পরিচিত। কম্পিউটার ও যোগাযোগপ্রযুক্তি–সম্পর্কিত নানা ধরনের অপরাধ সংঘটনের জন্য ১৯৯৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মিটনিককে তাঁর অ্যাপার্টমেন্ট থেকে এফবিআই গ্রেপ্তার করে। তাঁর পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়। কারাদণ্ড ভোগ করে ২০০০ সালের ২১ জানুয়ারি জেল থেকে বেরিয়ে আসেন। এরপর নিজের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। সেটির নাম দেন মিটনিক সিকিউরিটি কনসাল্টিং এলএলসি। পাশাপাশি তিনি কম্পিউটার নিরাপত্তা ব্যবসায়ও জড়িত হন।
হ্যাকিং নিয়ে মিটনিক বলেছিলেন, ‘ছোটবেলায় স্কুলে আমাকে শেখানো হয়েছে হ্যাকিং আসলে একটি দারুণ ব্যাপার (কুল)।’ কেভিন মিটনিকের দুই উল্লেখযোগ্য বই হলো ‘গোস্ট ইন দ্য ওয়্যারস: মাই অ্যাডভেঞ্চারস অ্যাজ দ্য ওয়ার্ল্ডস মোস্ট ওয়ানটেড হ্যাকার’ (২০১১) ও ‘দ্য আর্ট অব ইনট্রুশন: দ্য রিয়েল স্টোরিজ বিহাইন্ড দ্য এক্সপ্লয়েটস অব হ্যাকারস, ইন্ট্রুডারস, অ্যান্ড ডিসিভার’ (২০০৫)।  
গত ১৬ জুলাই প্রায় ৬০ বছর বয়সে পেনসিলভানিয়ায় মারা যান কেভিন মিটনিক।