ছবিতে মোবাইল প্রযুক্তির বিশ্বমেলা

স্পেনের বার্সেলোনায় গত সোমবার শুরু হয়েছে মোবাইল প্রযুক্তির সবচেয়ে বড় মেলা ‘মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস (এমডব্লিউসি)’। মোবাইল টেলিযোগাযোগের সাম্প্রতিকতম ও ভবিষ্যতের প্রযুক্তি দেখানো হয় এ মেলায়। এটি যেন মোবাইল প্রযুক্তির বিশ্বমেলা। চার দিনের মেলা শেষ হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে গতকাল মঙ্গলবার দেখানো কিছু প্রযুক্তির তথ্য নিয়ে এ আয়োজন।

হুয়াওয়ের ভাঁজ করা নতুন স্মার্টফোন মেট এক্সএস–২।
স্পেনের প্রতিষ্ঠান অ্যাবল হিউম্যান মোশন তৈরি করেছে এক্সোস্কেলেটন নামের এই যন্ত্র। যন্ত্রটি মোবাইল অ্যাপ দিয়ে চালানো যাবে। এই যন্ত্র ব্যবহার করে একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী মানুষ চলাচল করতে পারবেন।
মোবাইল কংগ্রেসে আসা এক দর্শক কুকুরের মতো দেখতে গো–১ রোবট ছুঁয়ে দেখছেন। এই রোবট বানিয়েছে ইউনিট্রি।
হুয়াওয়ের মোবাইল আর্টস তৈরি করেছে প্রাণীর মতো দেখতে এই রোবট। রোবটটি হুয়াওয়ের ক্লাউড প্রযুক্তি দিয়ে চলে।
দক্ষিণ কোরিয়ার স্টার্স্টআপ পেটনাউয়ের এক কর্মী নতুন অ্যাপ দেখাচ্ছেন। এই অ্যাপ পোষা প্রাণী শনাক্ত করতে পারে। শনাক্ত করার জন্য আগে থেকে পোষা প্রাণীর মুখ স্ক্যান করে নেওয়া হয়। পেটনাউয়ের মাইক্রোচিপ বসানো কলার পরা থাকলে সেই প্রাণীর চলাচলও পর্যবেক্ষণ করা যায়।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সঙ্গে যৌথভাবে চন্দ্রপৃষ্ঠে ডেটা নেটওয়ার্ক স্থাপন করতে চাইছে ফিনল্যান্ডের মোবাইল টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান নকিয়া। আর সেটাই প্রদর্শন করা হচ্ছে এমডব্লিউসিতে। নকিয়ার তথ্যমতে, মহাকাশে নভোচারীদের একজনের সঙ্গে অন্যজনের যোগাযোগের প্রয়োজন পড়ে। কথা বলা ও বার্তা আদান–প্রদান করার জন্য মুঠোফোনের প্রয়োজনও তাঁদের রয়েছে। এ ছাড়া হাই–ডেফিনেশন ভিডিও স্ট্রিমিং, দূর নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন যন্ত্রের সেন্সরসহ নানা প্রযুক্তির সুবিধা পেতে নকিয়া ও নাসা চাঁদে নেটওয়ার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে।
ফাইভ–জি নেটওয়ার্কে চলা স্বয়ংক্রিয় এই যান দেখাচ্ছে এরিকসন।
ষষ্ঠ প্রজন্মের (৬–জি) এই বেতার কেন্দ্র (রেডিও স্টেশন) দেখাচ্ছে এরিকসন।
জাপানের ই–স্পোর্ট প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান হাদোর তৈরি অগমেন্টেড রিয়েলিটির (প্রতিস্থাপিত বাস্তবতা) চশমা পরে অভিজ্ঞতা নিচ্ছেন এক দর্শক।
হুয়াওয়ের নতুন স্মার্টফোন মেট ৫০ প্রো পরখ করে দেখছেন এক দর্শক।