এক্সাস্কেল কম্পিউটিং প্রযুক্তি হলো অতি শক্তিশালী সুপারকম্পিউটিং প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তিনির্ভর সুপারকম্পিউটারগুলো সাধারণত প্রতি সেকেন্ডে এক ট্রিলিয়ন বা এক লাখ কোটি গণনা করতে পারে। এর ফলে সুপারকম্পিউটারগুলোর মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে কার্যকর ওষুধ তৈরির গবেষণা অন্যান্য সুপারকম্পিউটারের তুলনায় দ্রুত করা যায়। আর তাই নিজেদের বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে এক্সাস্কেল সুপারকম্পিউটার তৈরি করছে গুগল। প্রতি সেকেন্ডে বিপুলসংখ্যক তথ্য গণনা করতে পারলেও এই কম্পিউটার চালাতে প্রচুর বিদ্যুৎ শক্তির প্রয়োজন হবে বলে জানা গেছে।
এক্সাস্কেল কম্পিউটারের মাধ্যমে নির্ভুলভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব জানা যায়। শুধু তা-ই নয়, এ ধরনের সুপারকম্পিউটারের মাধ্যমে ব্ল্যাকহোলের তথ্য প্রক্রিয়াকরণ ও ছায়াপথের জন্ম থেকে শুরু করে জিনোম ম্যাপিংয়ের তথ্যও শনাক্ত করা সম্ভব। গুগলের তৈরি এক্সাস্কেল কম্পিউটার বর্তমানে বিভিন্ন গবেষণায় ব্যবহৃত শক্তিশালী সুপারকম্পিউটারগুলোর তুলনায় কম সময়ে ফলাফল দিতে পারবে বলে জানা গেছে।
গুগলের এক্সাস্কেল কম্পিউটার কাজ শুরু করলে এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে চালকবিহীন গাড়ি, রোবোটিকসের মতো ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এক্সাস্কেল কম্পিউটার বিস্তৃত আর্কিটেকচার সমন্বিত নিউরাল নেটওয়ার্ককে কার্যকর ও দ্রুতগতিতে প্রশিক্ষণ দিতে পারে। এআইকে আরও বুদ্ধিমান সিস্টেমের দিকে নিয়ে যেতে পারে এক্সাস্কেল কম্পিউটার। ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করেই গুগল এক্সাস্কেল কম্পিউটার চালু করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র: ইকোটিসিয়াস ডটকম