বাংলাদেশ স্টার্টআপ সম্মেলনের একটি স্টলে নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানছেন এক দর্শক
বাংলাদেশ স্টার্টআপ সম্মেলনের একটি স্টলে নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানছেন এক দর্শক

বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিট শেষ হচ্ছে আজ

‘স্মার্ট বাংলাদেশ, অফুরন্ত সম্ভাবনা’ প্রতিপাদ্যে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে চলছে বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিট। গতকাল শনিবার সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই দিনের এ সম্মেলনে শতাধিক স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বিনিয়োগকারীরা অংশ নিয়েছেন। আয়োজন করা হয়েছে ৪০টি অধিবেশন। গতকাল ১৯টি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার সকাল থেকে শুরু হয়েছে বিভিন্ন সেশন। ফিনটেক, বিজটেক, এডুটেক, হেলথটেক ও সফটওয়্যার সেবা এবং নারীদের উদ্যোগে বিনিয়োগ নিয়ে আয়োজিত এসব অধিবেশনে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি প্রযুক্তির হালনাগাদ তথ্য জানতে সম্মেলনে ভিড় করেছেন দর্শনার্থীরা।

আজ সম্মেলনস্থলে কথা হয় সেমিনারে অংশ নেওয়া নতুন উদ্যোক্তা কেয়া চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘নতুন একটি উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। সেই উদ্যোগ কীভাবে পরিচালনা করব, তা জানতেই সম্মেলনে এসেছি।’ ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আয়োজিত ‘চকবোর্ড থেকে কি-বোর্ড’ অধিবেশনে অংশ নেওয়া কামরুল ইসলাম নামের এক দর্শনার্থী বলেন, ‘ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থাই পারে দেশকে অমূল বদলে দিতে। শিক্ষাব্যবস্থা যত বেশি ডিজিটাল হবে, তত দ্রুত আমরা এগিয়ে যেতে পারব। আর তাই আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে প্রযুক্তিবান্ধব করার কৌশল ও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এ অধিবেশনে।’

সম্মেলনে দেখা মিলেছে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান মনের বন্ধুর। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদা শিরোপা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন। তাঁর উপস্থিতিতেই আমরা আমাদের নতুন ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেছি।’

গতকাল সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আটটি বিভাগে শপআপ, পাঠাও, বিকাশ, ১০ মিনিট স্কুল, ইউএনডিপি ইয়ুথকো ল্যাব, নগদ, এসবিকে টেক ভেঞ্চার এবং পরবর্তী অর্থায়নকে স্টার্টআপ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আইসিটি সচিব মো. সামসুল আরেফিন ও স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।