কলোসাস মার্ক–২ চালাচ্ছেন ডরোথি ডু বইসন (বাঁয়ে) ও এলসি বুকার (ডানে), ১৯৪৩
কলোসাস মার্ক–২ চালাচ্ছেন ডরোথি ডু বইসন (বাঁয়ে) ও এলসি বুকার (ডানে), ১৯৪৩

কাজ করল প্রথম ইলেকট্রনিক, ডিজিটাল কম্পিউটার

১ জুন, ১৯৪৪

প্রথম ডিজিটাল কম্পিউটার। কলোসাস নামের যন্ত্রটিকে বিশ্বের প্রথম প্রোগ্রামেবল, ইলেকট্রনিক, ডিজিটাল কম্পিউটার হিসেবে ধরা হয়। যদিও এটির প্রোগ্রাম করা যেত সুইচ ও প্লাগ দিয়ে।

১ জুন, ১৯৯৫

সিমসিটির নির্মাতা ম্যাক্সিস কোম্পানি হলো। সিম্যুলেশন ঘরানার জনপ্রিয় গেম সিমসিটির নির্মাতা ম্যাক্সিস ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৫ সালের ১ জুন এটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে পরিণত হয়।

১ জুন, ১৯৪৪
প্রথম ইলেকট্রনিক, ডিজিটাল কম্পিউটার
কলোসাস নামের যন্ত্রটিকে বিশ্বের প্রথম প্রোগ্রামেবল, ইলেকট্রনিক, ডিজিটাল কম্পিউটার হিসেবে ধরা হয়। যদিও এটির প্রোগ্রাম করা যেত সুইচ ও প্লাগ দিয়ে। সংরক্ষিত কোনো প্রোগ্রাম দিয়ে এটি চলত না। ১৯৪৩ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজের কলোসাসের উন্নয়ন হয় একদল ব্রিটিশ সংকেত উদ্ধারকারীর (কোডব্রেকারস) হাতে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গোপন সাংকেতিক বার্তার বিষয়বস্তু উদ্ধার করতে কলোসাস ব্যবহৃত হতো। একে বলা হতো কোডব্রেকিং কম্পিউটার।

কলোসাসের নকশা করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল পোস্ট অফিসের (জিপিও) রিসার্চ টেলিফোন প্রকৌশলী টমি ফ্লাওয়ারস। গণিতবিদ ম্যাক্স নিউম্যান গভর্নমেন্ট কোড ও সাইফার স্কুলে একটি গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতে দিয়েছিলেন। সেটির সমাধান করতে গিয়ে টমি ফ্লাওয়ারস কলোসাসের নকশা করেন। কম্পিউটারবিজ্ঞানের জনক হিসেবে গণ্য অ্যালান টুরিনের ক্রিপ্ট্যানালাইসিসের সম্ভাব্যতা সূত্র ফ্লাওয়ারসের নকশায় অবদান রেখেছিল।
কলোসাস মার্ক–১ ছিল প্রথম নমুনাযন্ত্র (প্রটোটাইপ)। এটা ১৯৪৩ সালে ইংল্যান্ডের ব্লেচলি পার্ক দেখানো হয়। এর উন্নত সংস্করণ কলোসাস মার্ক–২ ১৯৪৪ সালের ১ জুন প্রথবারের মতো কাজ করে। এর গতি ছিল সেই সময়ের জন্য যথেষ্টই চমকপ্রদ। ১৯৭০ সাল পর্যন্ত কলোসাসের অস্তিত্ব গোপন রাখা হয়েছিল। এটি এখন ব্লেচলি পার্কের দ্য ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব কম্পিউটিংয়ে সংরক্ষিত রয়েছে।

সিম সিটিতে নিজের শহর বানিয়ে নেওয়া যায়

১ জুন, ১৯৯৫
সিমসিটির নির্মাতা ম্যাক্সিস কোম্পানি হলো
সিম্যুলেশন ঘরানার জনপ্রিয় গেম সিমসিটির নির্মাতা ম্যাক্সিস ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৫ সালের ১ জুন এটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে পরিণত হয়। সিমসিটি ছাড়াও ম্যাক্সিসের জনপ্রিয় গেমগুলো হলো সিমআর্থ, সিমঅ্যান্ট ও সিমলাইফ। সিমসিটি সিম্যুলেটর প্রোগ্রাম তৈরি করেন ম্যাক্সিসের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল রাইট। জাহাজ ও উড়োজাহাজের মডেলের প্রতি ছোটবেলা থেকে আগ্রহ ছিল রাইটের। জেফ ব্রাউনের সঙ্গে ম্যাক্সিস প্রতিষ্ঠা করে বিল রাইট মানুষকে ভার্চ্যুয়াল শহর তৈরি করার সুযোগ দিয়েছিলেন, যাতে নিজেদের কম্পিউটারে বসে সেসব ভার্চ্যুয়াল শহরকে নানা রকম দুর্যোগ থেকে রক্ষা করতে পারেন।
ম্যাক্সিস বেশি পরিচিতি পায় তাদের তৈরি ভিডিও গেম দ্য সিমস, স্পোর ও সিমসিটির জন্য। জনপ্রিয়তা পরেও নব্বই দশকে ব্যবসা খারাপ হতে থাকে ম্যাক্সিসের। একের পর এক স্টুডিও বন্ধ হতে থাকে। ১৯৯৭ সালে ম্যাক্সিসকে অধিগ্রহণ করে ভিডিও গেম নির্মাতা ইলেকট্রনিক আর্টস (ইএ)। এখন ইএর একটি বিভাগ হিসেবে রয়েছে ম্যাক্সিস।


সূত্র: কম্পিউটার হিস্ট্রি ডটওআরজি, উইকিপিডিয়া