নকিয়ার ৩৬৫০ মুঠোফোনসহ সিমবিয়ানে চলা ফোন আক্রান্ত হয়েছিল ক্যাবির ভাইরাসে
নকিয়ার ৩৬৫০ মুঠোফোনসহ সিমবিয়ানে চলা ফোন আক্রান্ত হয়েছিল ক্যাবির ভাইরাসে

প্রযুক্তির এই দিনে: ১৪ জুন

মুঠোফোনের প্রথম ভাইরাস ক্যাবির

কারিগরি নাম ক্যাবির, তবে বেশি পরিচিত হয় ক্যারিবে নামে। ২০০৪ সালে তৈরি এই ক্যাবির মুঠোফোনের প্রথম ভাইরাস।

১৪ জুন ২০০৪
মুঠোফোনের প্রথম ভাইরাস ক্যাবির
কারিগরি নাম ক্যাবির, তবে বেশি পরিচিত হয় ক্যারিবে নামে। ২০০৪ সালে তৈরি এই ক্যাবির মুঠোফোনের প্রথম ভাইরাস। ৪ জুন সেই সময়ে সিমবিয়ান অপারেটিং সিস্টেমে চলা মুঠোফোনে ছড়িয়ে পড়েছিল এই ভাইরাস। এটি তারহীন ব্লুটুথ সংযোগ ব্যবহার করে নিজে নিজেই অন্য ফোনে চলে যেত। তবে এটি মুঠোফোনের জন্য খুব একটা ক্ষতিকর ছিল না। তবে এটি সব সময় ব্লুটুথ নেটওয়ার্ক খুঁজত, সে কারণে ব্যাটারির চার্জ দ্রুত শেষ হয়ে যেত। ক্যাবির ছিল একটি এমএমএস (মাল্টিমিডিয়া মেসেজিং সার্ভিস)। প্রতিবার ফোনের পর্দা চালুর সময় ক্যাবির ভাইরাসের নাম ভেসে উঠত।

‘২৯এ’ নামে কম্পিউটার ভাইরাস-লেখকদের একটি দল এই ভাইরাস তৈরি করে ছড়িয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এটা ছিল দৃষ্টি আকর্ষণের একটি প্রয়াস। মুঠোফোনের তেমন কোনো ক্ষতি না হলেও এটা জানান দেওয়ার একটা চেষ্টা যে কম্পিউটারের মতো মুঠোফোনে ভাইরাস বা ওয়ার্ম আক্রমণ করতে পারে।
রাশিয়ার অ্যান্টিভাইরাস নির্মাতা ক্যাসপারস্কি ল্যাবের একজন কর্মী এলে ক্যাবিরোভা এই ভাইরাস শনাক্ত করার পর এর নাম রাখা হয় ‘ক্যাবির’।

প্রথম ইলেকট্রনিক ডিজিটাল কম্পিউটার নিয়ে আইনী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছিলেন দুই উদ্ভাবক

১৪ জুন ১৯৪১
কম্পিউটারের দুই পথিকৃতের দেখা, পরে জড়ান আইনী লড়াই
মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী জন মশলি যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া সিটিতে আসেন পদার্থবিজ্ঞানী ও উদ্ভাবক জন অ্যাটানাসফের কম্পিউটার দেখতে। কম্পিউটার তৈরির এই দুই পথিকৃতের প্রত্যেকেই নিজেকে ইলেকট্রনিক ডিজিটাল কম্পিউটারের বৈধ উদ্ভাবক দাবি করে পরবর্তী সময়ে আইনি লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েন। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর জয় পান অ্যাটানাসফ। একজন বিচারক ‘এনিয়াক’ কম্পিউটার উন্নয়নের স্বীকৃতি দিয়ে রায় দেন অ্যাটানাসফের পক্ষে।

ইউনিভ্যাক-১ কম্পিউটার

১৪ জুন ১৯৫৬
মার্কিন জনশুমারিতে ইউনিভ্যাক-১ কম্পিউটার
ইউএস সেনসাস ব্যুরো প্রথমবারের মতো জনশুমারিতে গণনার জন্য ইউনিভ্যাক কম্পিউটার ব্যবহার করে এবং প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ে ত্রুটি (এরর বা বাগ) দেখতে পায়। যখন প্রোগ্রামিং–জনিত এই ত্রুটি দূর করা হয়, ইউনিভ্যাক-১ তখন প্রথম বাণিজ্যিক কম্পিউটার হিসেবে অনেকের নজর কাড়ে। এর নির্মাতা রেমিংটন র‌্যান্ড শেষ পর্যন্ত ৪৬টি ইউনিভ্যাক কম্পিউটার বিক্রি করতে পারে। প্রতিটি কম্পিউটারের দাম কত ছিল জানেন? ১০ লাখ ডলারের বেশি।

মুঠোফোনের জন্য এএমডির প্রথম প্রসেসর

১৪ জুন ২০১১
মুঠোফোনের জন্য এএমডির প্রথম প্রসেসর
মার্কিন প্রসেসর নির্মাতা এএমডি (অ্যাডভান্সড মাইক্রো ডিভাইসেস) মুঠোফোনের জন্য তাদের প্রথম প্রসেসর বাজারে আনে। প্রথম দুটি প্রসেসর ছিল এ-৪ লাইনের এ ফোর-৩৩০০ এম ও ৩৩১০এমএক্স। এ দুই প্রসেসরের ঘোষণা দেওয়ার পর একই দিনে এএমডি এ সিক্স ও এ এইট লাইনের আরও চারটি মোবাইল প্রসেসরের ঘোষণা দেয়।