৬ জুলাই প্রকাশিত হওয়ার পরপরই প্রযুক্তি বিশ্বে রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছে মেটার থ্রেডস অ্যাপ। সপ্তাহ না পেরোতেই ১০ কোটির বেশি ব্যবহারকারী যুক্ত হয়েছেন অ্যাপটিতে।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের ধারণা, কম সময়ে বেশি ব্যবহারকারী যুক্ত হওয়া অ্যাপ বা ওয়েবসাইটের তালিকায় নিজের নাম লেখাতে যাচ্ছে থ্রেডস। টুইটারের আদলে তৈরি অ্যাপটি কী সত্যিই টুইটারের প্রতিদ্বন্দ্বী হবে, এ নিয়ে আলোচনাও শুরু হয়েছে প্রযুক্তি বিশ্বে। এরই মধ্যে থ্রেডসে টুইটারের প্রযুক্তি ব্যবহারের অভিযোগে মেটার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে টুইটার। নকলের অভিযোগ আনলেও টুইটার ও থ্রেডসের মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। প্রধান প্রধান পার্থক্যগুলো দেখে নেওয়া যাক।
টুইটারে পোস্ট করা টুইট (বার্তা) সম্পাদনা করা গেলেও মেটার থ্রেডসে পোস্ট সম্পাদনার কোনো সুযোগ নেই। ফলে বানান বা ভুল তথ্য থাকলে পোস্ট মুছে ফেলতে হবে থ্রেডসে। তবে প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের ধারণা, অল্প কিছুদিনের মধ্যে থ্রেডসেও পোস্ট সম্পাদনার সুবিধা যুক্ত করা হবে।
অ্যাপ ও ওয়েবসাইটে টুইটার ব্যবহার করা গেলেও থ্রেডস শুধু অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহার করা যায়। থ্রেডস ডটনেট নামের থ্রেডসের ওয়েবসাইট থাকলেও সেখানে শুধু অ্যাপ নামানোর ঠিকানা রয়েছে।
টুইটারে ডিরেক্ট মেসেজ (ডিএম) সুবিধা ব্যবহার করে ব্যক্তিগত বার্তা সরাসরি নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে পাঠানো যায়। থ্রেডসে ব্যক্তিগতভাবে বার্তা পাঠানোর সুবিধা নেই।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখন হ্যাশট্যাগের ব্যবহার হয় অনেক। টুইটারে হ্যাশট্যাগ ব্যবহারের সুযোগ থাকলেও থ্রেডসে এখনো এ সুবিধা নেই। তবে মেটা মালিকানাধীন ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে।
টুইটারের সর্বাধিক আলোচিত বিষয়গুলো ‘ট্রেন্ডিং টপিকস’ হিসেবে দেখা গেলেও থ্রেডসে এ সুবিধা নেই। টুইটারের সার্চ বারের নিচে ‘ট্রেন্ডস ফর ইউ’–এর নিচে সর্বাধিক আলোচিত সাম্প্রতিক সংবাদ ও ঘটনা দেখা যায়।
বাইরের কোনো মাধ্যম যেমন ব্লগ বা সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইটে থ্রেডসের পোস্ট যুক্ত করে দেওয়ার (এমবেডেড) সুযোগ নেই। তবে টুইট বার্তা বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও ব্লগে এমবেড করা যায়।
টুইটারের ফিডে ‘ফর ইউ’ ও ‘ফলোয়িং’ নামের দুটি ভাগ থাকলেও থ্রেডসের ফিডে এমন সুযোগ নেই। থ্রেডসে এক ফিডেই সব ধরনের পোস্ট দেখা যায়।