ঘরে বা অফিসে ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট ব্যবহার করেন অনেকেই। দীর্ঘদিন দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করলেও অনেক সময় বিভিন্ন কারণে ইন্টারনেটের গতি কমে যেতে পারে। সাধারণ মানের রাউটার ব্যবহারে ফলে এ সমস্যা বেশি হয়। তবে বেশ কিছু কৌশল ব্যবহার করে চাইলেই ওয়াই-ফাইয়ের গতি বাড়ানো সম্ভব। ওয়াই-ফাইয়ের গতি বাড়ানোর সাত উপায় জেনে নিন।
প্রথমেই যে প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ওয়াই-ফাই সংযোগ নিয়েছেন, তাদের ইন্টারনেটের গতি পরীক্ষা করতে হবে। কারণ, অনেক প্রতিষ্ঠানই গ্রাহক সংখ্যা বেশি হলে উচ্চগতির সংযোগের বদলে ধীরগতির ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে থাকে। স্পিডটেস্টডটকম বা ফাস্ট ডটকমসহ বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে সহজেই ইন্টারনেটের গতি পরীক্ষা করা সম্ভব।
ইন্টারনেট সংযোগ ঠিক থাকলে রাউটারের সমস্যার কারণেও বিভিন্ন যন্ত্রাংশে ধীরগতির ইন্টারনেট পাওয়া যায়। সমস্যা সমাধানে রাউটার বন্ধ করে ১০ সেকেন্ড পর আবার চালু করতে হবে। কম্পিউটারসহ অন্যান্য যন্ত্রও একইভাবে চালু করলে অনেক সময় ইন্টারনেটের গতি বেশি পাওয়া যায়। চাইলে ইথারনেট কেব্লের মাধ্যমে রাউটারের সঙ্গে সরাসরি ল্যাপটপ বা কম্পিউটার যুক্ত করতে পারেন, এতে দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে।
দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ বা রাউটার ভালো থাকার পরও ধীরগতির ইন্টারনেটের সমস্যা হতে পারে। অনেক সময় সংযোগ তার বা পোর্টের কারণে ইন্টারনেটের গতি কমে যায়। সমস্যা সমাধানে কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা রাউটারের কেব্ল এবং পোর্টগুলো ঠিকমতো কাজ করছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশি হয়ে গেলে ইন্টারনেটের গতি কমে যেতে পারে। এ জন্য খেয়াল রাখতে হবে গোপনে কেউ আপনার ওয়াই-ফাই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে কি না। এ জন্য নিয়মিত পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে হবে। পাসওয়ার্ড যত জটিল হবে, তত এ সমস্যা কম হবে।
কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা ফোন যদি ম্যালওয়্যার বা ভাইরাসে আক্রান্ত থাকে, তবে ইন্টারনেটের গতি কমে যেতে পারে। এ জন্য নিয়মিত অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করে যন্ত্রগুলোকে ভাইরাসমুক্ত রাখতে হবে।
বর্তমানে একই ভবনে একাধিক ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হয়। ফলে অন্য ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক থেকে আসা সিগন্যালের কারণেও ইন্টারনেটের গতি কমে যায়। আর তাই রাউটারে কম ঘনত্বের চ্যানেল ব্যবহার করলে ইন্টারনেটের গতি বেশি পাওয়া যাবে। ভালো মানের রাউটার স্বয়ংক্রিয়ভাবে কম ঘনত্ব থাকা চ্যানেল নির্বাচন করে সিগন্যাল গ্রহণ করে। কিন্তু পুরোনো মডেলের বা কম দামি রাউটার নির্দিষ্ট চ্যানেল ব্যবহার করে। ফলে হালনাগাদ মডেলের ল্যাপটপ ব্যবহার করলে দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ মিলবে।
দ্রুতগতির ওয়াই-ফাইয়ের জন্য রাউটারের অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য রাউটারকে এমন স্থানে রাখতে হবে, যাতে ব্যবহৃত সব যন্ত্র রাউটারের কাছাকাছি থাকে। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই রাউটার ঘরের মাঝামাঝি স্থানে রাখতে হবে। এতে সব দিকে সমানভাবে ওয়াই-ফাই সিগন্যাল পাওয়া যাবে।
সূত্র: জেডডিনেট