দেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার ৫-জি প্রদর্শন করছে চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। মোবাইল অপারেটর টেলিটকের সঙ্গে ৫–জি নেটওয়ার্কের গতি পরীক্ষা করে দর্শনার্থীদের দেখানো হচ্ছে। এ লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নেটওয়ার্ক যন্ত্রপাতিও বসিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
মেলা ঘুরে দেখা গেছে, মেলায় বিভিন্ন বয়সী মানুষ ভিড় করছেন। অনেকেই ৫–জি সেবা সম্পর্কে জানার জন্য হুয়াওয়ের প্যাভিলিয়নে ভিড় করছেন। অনেকেই ইন্টারনেটের গতি দেখে বিস্ময় প্রকাশ করছেন।
হুয়াওয়ের কর্মকর্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের ওপরে নেটওয়ার্কিং যন্ত্রপাতি বসিয়ে তাঁদের ডিভাইসের মাধ্যমে ৫–জি দেখাচ্ছেন তাঁরা। ৫-জি ব্যবহারে সেকেন্ডে ১ দশমিক ৬ জিবি গতিতে তথ্য স্থানান্তরের (ডেটা ট্রান্সফারের) অভিজ্ঞতা পাওয়া গেছে। ৫-জির উন্নয়ন ও গবেষণায় হুয়াওয়ের দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার ফলে এটি সম্ভব হয়েছে।
এর আগে ২০১৮ সালে দেশে ৫-জি সেবা পরীক্ষা করেছিল হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড। তখন ৮০০ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম ব্যবহার করে প্রতি সেকেন্ডে সর্বোচ্চ ৪ জিবি পর্যন্ত ইন্টারনেট গতি পাওয়া গিয়েছিল। এবার ৮ ভাগের ১ ভাগ তরঙ্গ ব্যবহার করে প্রতি সেকেন্ডে ১.৬ জিবির বেশি গতি উঠেছে।
হুয়াওয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৫–জির অত্যাধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও গবেষণায় গত ১০ বছর কাজ করছে হুয়াওয়ে। এ ক্ষেত্রে চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে তারা।
মেলায় দেখা গেছে, দর্শনার্থীরা রিয়েল টাইম ভিআর উপভোগ করছেন। ৫-জি নেটওয়ার্কে ভিআর হেডসেট পরলে নিজেদের বরফের ওপর স্কিইং করার অভিজ্ঞতা নিতে পারছেন। এ ছাড়া ৫–জি প্রযুক্তিতে রোবটিক প্রযুক্তি যেভাবে কাজ করবে, তা দেখানো হচ্ছে।
হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের বিপণন পরিচালক নাজমুল হাসান বলেন, উন্নত প্রযুক্তি ও ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটির সরাসরি অভিজ্ঞতা দিতে হুয়াওয়ে এ আয়োজন করেছে।
আজ শনিবার রাত আটটায় শেষ হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা। সবার জন্য উন্মুক্ত মেলার আয়োজক ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। সহযোগিতায় রয়েছে বিটিআরসি, বিটিসিএল, টেলিটক, বিএসসিসিএল, বিসিএসসিএল, ডাক বিভাগ ও আইএসপিএবি। মেলায় বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি ও আইএসপিসহ ৮২টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। মেলায় ২৫টি স্টল, ২৯টি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ২৮টি প্যাভিলিয়ন রয়েছে।