বিভিন্ন গান, বিখ্যাত সিনেমার সংলাপসহ নানা রকম মজাদার অডিওর সঙ্গে ঠোঁট মিলিয়ে ছোট ভিডিও তৈরি করে আপলোড করা যায় টিকটক অ্যাপে। চীনের বাইটড্যান্স তৈরি করেছে টিকটক নামের অ্যাপটি। ছোট ভিডিও শেয়ারের অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস প্ল্যাটফর্মে ১০০ কোটিবার ডাউনলোডের মাইলফলক পেরিয়েছে। বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বেশ কিছুদিন ধরে নানা রকম ভিডিও তৈরির কারণে এ অ্যাপটি জনপ্রিয় হয়। তবে এর বিরুদ্ধে নানা কুৎসিত ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগও উঠেছে। ভারতে অ্যাপটি বন্ধ করার দাবি উঠেছে। এ ছাড়া বাংলাদেশও এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
তবে সোশ্যাল ভিডিও অ্যাপ হিসেবে এর জনপ্রিয়তা বেড়েছে বলে সেন্সর টাওয়ার নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান তাদের স্টোর ইনটেলিজেন্স প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে।
১০০ কোটি ডাউনলোড এই হিসাব করতে এর লাইট সংস্করণ ও আঞ্চলিক সংস্করণকে হিসাবে ধরা হয়েছে। সেন্সর টাওয়ারের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী এ অ্যাপটির নতুন ব্যবহারকারী ৭০ কোটি ১৩ লাখ। গত বছর ফেসবুক অ্যাপ ইনস্টল হয়েছে ৭১ কোটি ১০ লাখবার আর ইনস্টাগ্রাম অ্যাপ ডাউনলোড হয়েছে ৪৪ কোটি ৪০ লাখবার। গত বছরে সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হওয়া অ্যাপের মধ্যে চতুর্থ স্থানে ছিল টিকটক। নতুন ইনস্টলের হিসাবে বিশ্বজুড়ে গত জানুয়ারি মাসে এর অবস্থান ছিল তিনে। আর যুক্তরাষ্ট্রে গত মাসে এটি শীর্ষে ছিল।
সম্প্রতি টিকটক যত বেশি ডাউনলোড হয়েছে তার ২৫ শতাংশই ভারতে। যুক্তরাষ্ট্রেও গত বছরের জানুয়ারির চেয়ে এ বছরের জানুয়ারিতে টিকটকের ব্যবহার বেড়েছে। গত বছর এর ইনস্টল করার হার ছিল ৫ দশমিক ৬ শতাংশ, যা এ বছর ৯ শতাংশে এসে পৌঁছেছে।
সম্প্রতি টিকটক অ্যাপ নিয়ে বাংলাদেশেও ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। বাংলাদেশে অ্যাপটি বন্ধ করার কথা বলেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এর আগে টিকটক অ্যাপে আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশের অভিযোগে চিত্রনায়িকা সানাইকে রাজধানীর মিন্টো রোডের পুলিশের সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ দমন বিভাগে ডাকা হয়।
সাইবার অপরাধ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার নাজমুল ইসলাম প্রথম আলোকে ওই সময় জানান, সাধারণ মানুষের পাশাপাশি তারকাদের অনেকেই টিকটক আর বিগোলো অ্যাপ ব্যবহার করেন। এসব অ্যাপ তরুণদের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। তাই এসব অ্যাপ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তারকাসহ সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, যাঁরা এসব অ্যাপ ব্যবহার করেন, তাঁদের অনুরোধ করছি, আপনারা যদি এসব ব্যবহার বন্ধ করেন, তাহলে সাধারণ মানুষ এমনিতে সরে যাবে।