হোয়াটসঅ্যাপে আপনি যা বলেননি বা যা লেখেননি, তা–ই দেখাতে পারে। চাইলে দুর্বৃত্তরা বিশেষ প্রোগ্রাম ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপের বার্তা বদলে দিতে পারে। হোয়াটসঅ্যাপ প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারকারীর বার্তা বদলে দেওয়ার টুল সম্প্রতি উন্মুক্ত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফেসবুকের মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপে মারাত্মক ত্রুটি রয়েছে, যা কাজে লাগিয়ে ব্যবহারকারীর কোনো কথা বা শব্দ বদলে ফেলা যায়। আজ বৃহস্পতিবার বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান চেকপয়েন্টের গবেষকেরা দাবি করেছেন, হোয়াটসঅ্যাপের ত্রুটি বের করার পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো বার্তা বদলে ফেলার টুল বা প্রোগ্রাম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
গবেষক ওডেড ভানুনু দাবি করেছেন, বিশেষ প্রোগ্রাম ব্যবহার করে সাইবার দুর্বৃত্তরা হোয়াটসঅ্যাপ প্ল্যাটফর্মে কথাবার্তা বদলে ফেলতে পারে। হোয়াটসঅ্যাপের ত্রুটি কাজে লাগিয়ে ভুয়া খবর ছড়ানো বা প্রতারণা করা যায়।
এ বিষয়ে ফেসবুকের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে সাইবার নিরাপত্তা সম্মেলন ব্ল্যাক হ্যাটে ওই প্রোগ্রাম প্রদর্শন করা হয়। গত বছরে চেকপয়েন্ট এ বিষয়ে গবেষণাপত্র প্রকাশ করে।
ভানুনু দাবি করেন, হোয়াটসঅ্যাপের কোটিং ফিচার কাজে লাগিয়ে কারও লেখাকে বদলে তার অনুরূপ লেখা প্রকাশ করা যায়। একজন কি বলেছে, তার সম্পূর্ণ ভিন্ন অর্থে বদলে ফেলা সম্ভব। এ ছাড়া বার্তা প্রেরকের পরিচয় শনাক্ত করার বিষয়টিও জানিয়ে দেওয়া সম্ভব এতে। এ ছাড়া একান্ত বার্তাগুলো একজনের কাছে পাঠানোর বদলে সবার কাছে চলে যায়। অবশ্য ফেসবুকের পক্ষ থেকে বার্তা সবার কাছে চলে যাওয়ার ত্রুটি ঠিক করে ফেলা হয়েছে।
ভানুনু বলেন, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তাদের বলেছে, হোয়াটসঅ্যাপের অবকাঠামো সীমাবদ্ধতার কারণে অন্যান্য ত্রুটি সারানো সম্ভব নয়। কারণ, হোয়াটসঅ্যাপের এনক্রিপশন প্রযুক্তিতে তাদের পক্ষে বার্তা পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব নয়।
ভানুনু বলেন, হোয়াটসঅ্যাপের দুর্বলতা নিয়ে আলোচনার জন্য বিশেষ প্রোগ্রামটি তৈরি করা হয়েছে। বর্তমান বিশ্বের ৩০ শতাংশ মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করছে। এখানে ভুয়া খবর ও এর অপব্যবহার বাড়ছে। এটা ঠিক করা দায়িত্ব। এটা এড়িয়ে যাওয়ার পথ নেই।