যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বাণিজ্য যুদ্ধের কবলে পড়ে নতুন স্মার্টফোন মেট ৩০ মডেলটিতে ইউটিউব, ম্যাপসের মতো গুগলের জনপ্রিয় অ্যাপগুলো যুক্ত করতে পারেনি হুয়াওয়ে। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও গোপন পথ (ব্যাকডোর) ব্যবহার করে হুয়াওয়ের নতুন স্মার্টফোন গুগলের অ্যাপ ইনস্টল করার সুযোগ পেতেন ব্যবহারকারীরা।
তবে গত মঙ্গলবার এক নিরাপত্তা গবেষক ও ব্যাকডোরের তথ্য ফাঁস করে দেন। ফলে হুয়াওয়ের ফোনে গুগল অ্যাপ ব্যবহারের সুযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। চীনভিত্তিক যে ওয়েবাসাইট থেকে গুগলের অ্যাপ ডাউনলোডের সুবিধা দেওয়া হচ্ছিল তা বন্ধ হয়ে গেছে।
জার্মানির মিউনিখে মেট সিরিজে গত মাসে মেট ৩০ ও মেট ৩০ প্রো মডেলের স্মার্টফোনের ঘোষণা দেয় চীনা প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্যযুদ্ধের ফলে গুগলের সফটওয়্যার ব্যবহার করার সুযোগ পায়নি হুয়াওয়ে। তারা বরাবরই বলে এসেছে, গুগলে অ্যান্ড্রয়েড ওএস তাদের প্রথম পছন্দ। তবে তাদের হাতে বিকল্পও রয়েছে।
মেট ৩০ সিরিজ দিয়ে সেই বিকল্পের পথেই হেঁটেছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। নতুন স্মার্টফোনটিতে গুগলের জনপ্রিয় অ্যাপগুলো নেই। এটি অ্যান্ড্রয়েড ১০ ওএসের ভিত্তিতে তৈরি ইএমইউআই ১০ সফটওয়্যারে চলবে। এতে গুগলের সেবার পরিবর্তে হুয়াওয়ের নিজস্ব মোবাইল সেবাগুলো যুক্ত হয়েছে।
গত মে মাসের মাঝামাঝি ট্রাম্প প্রশাসন জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে হুয়াওয়েকে কালো তালিকাভুক্ত করে। হুয়াওয়ে অবশ্য সব ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে হুয়াওয়ের সঙ্গে সবার আগে ব্যবসা বন্ধ করে গুগল। হুয়াওয়ের নতুন স্মার্টফোনে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে আপডেট বন্ধ হয়ে যায়।
হুয়াওয়ের মোবাইল ফোনে খুঁজে পাওয়া গোপন পথ তৈরি করেছিল এলজেডপ্লে নামের একটি সাইট। তারা গুগলের বিভিন্ন অ্যাপ হুয়াওয়ে ডিভাইসে চালানোর সুযোগ করে দেয়।
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ জন ইয়ু বলেন, এলজেডপ্লে অ্যাপের মাধ্যমে হুয়াওয়ে ডিভাইসে গুগল অ্যাপ ব্যবহারের কথা হুয়াওয়ে জানতো। তারা এর অনুমতি দিয়েছে বলেই মনে হয়।
হুয়াওয়ের পক্ষ থেকে এলজেডপ্লের সঙ্গে কোনো রকম সম্পর্ক থাকার বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে।
গত জুলাই মাসে চালু হওয়া এলজেডপ্লে সাইটটি কারা বন্ধ করে সে তথ্য অবশ্য জানা যায়নি।