চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের কাছে চিপ ও সেন্সর সরবরাহ করার অনুমতি চেয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আবেদন করেছে জাপানের প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সনি ও চিপ নির্মাতা কিওশিয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের কালো তালিকায় আছে হুয়াওয়। যারা মার্কিন প্রযুক্তি ব্যবহার করে তারা যদি হুয়াওয়কে প্রযুক্তি সরবরাহ করতে চায় তবে তাদের যুক্তরাষ্ট্রের লাইসেন্সের প্রয়োজন পড়ে। সনি ও কিওশিয়া যদি যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অনুমোদন পায় তবে অন্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পথ অনুসরণ করবে। ইতিমধ্যে ইনটেল করপোরেশন মার্কিন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এমন অনুমোদন পেয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যেকার বাণিজ্য সম্পর্ক কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় রয়েছে। ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে তাদের মিত্র দেশগুলোকে হুয়াওয়ের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য বলা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, টেলিকম যন্ত্রপাতি নির্মাতা হুয়াওয়ে গোয়েন্দাগিরির জন্য চীন সরকারের কাছে তথ্য সরবরাহ করে থাকে। অবশ্য হুয়াওয়ের পক্ষ থেকে সব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
সনির তৈরি স্মার্টফোনের ইমেজ সেন্সরের বড় ক্রেতা হুয়াওয়ে। কিওশিয়া হোল্ডিংস বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফ্ল্যাশ মেমোরি চিপ নির্মাতা ও হুয়াওয়ের কাছে চিপ সরবরাহকারী।
জাপানের সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এক প্রতিবেদনে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সেন্সর ও চিপ বিক্রির অনুমোদন না পেলে ক্ষতির মুখে পড়বে সনি ও কিওশিয়া। তাদের আয় ব্যাপক কমে যাবে।
কিওশিয়া সতর্ক করে বলেছে, হুয়াওয়ের কাছে চিপ বিক্রি করতে না দিলে চিপের দাম কমে যাবে ও অতিরিক্ত সরবরাহ সৃষ্টি হবে। এর প্রভাব বৈশ্বিক চিপের বাজারে পড়বে।
সনির একজন মুখপাত্র বলেছেন, প্রতিষ্ঠানটি সব ধরনের আইনি প্রক্রিয়া মেনে চলে। তবে নির্দিষ্ট কোনো ক্রেতার বিষয়ে তারা মন্তব্য করবে না। এ বিষয়ে কিওশিয়ার কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি।