হাইটেক পার্কের প্রত্যাশা পূরণ কত দূর?

হাইটেক পার্কগুলো ঘিরে তিন লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের কথা বলা হলেও এর বাস্তব অগ্রগতি এখনো ধীর গতিতে এগোচ্ছে। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের উন্নয়ন বাজেটে অন্তর্ভুক্ত প্রকল্প সংখ্যা ৬টি। এখানেই কর্মসংস্থান করবে সরকার। অবশ্য হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ বলছে, অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ সেন্টার ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জনবল তৈরি করা হচ্ছে। হাইটেক পার্কগুলোর মাধ্যমে ২০২০ সালের মধ্যে ৫০০ কোটি ডলার এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সফটওয়্যার ও সেবা রপ্তানি করবে বাংলাদেশ। কিন্তু বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা।

চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি সামান্য। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রাজশাহী হাই-টেক পার্ক (বরেন্দ্র সিলিকন সিটি) স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের সর্বোচ্চ অগ্রগতি ৬৮ শতাংশ। সর্বনিম্ন অগ্রগতি জেলা পর্যায়ে আইটি/হাই-টেক পার্ক স্থাপন (১২টি জেলায়) প্রকল্পে ১ শতাংশ। কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্ক (এবং অন্যান্য হাই-টেক পার্ক)-এর উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তব অগ্রগতি ৬১ শতাংশ। সিলেট (সিলেট ইলেকট্রনিকস সিটি)-এর প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের অগ্রগতি ৫৫ শতাংশ। শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার শীর্ষক প্রকল্পের অগ্রগতি ৩০ শতাংশ। এর চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপন প্রকল্পের অগ্রগতি ৪৪ দশমিক ২৫ শতাংশ।

ফলে ২০২০ সালকে লক্ষ্য ধরে হাইটেক পার্কে কর্মসংস্থানের প্রক্রিয়া শেষ হবে না বলেই জানিয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী।

আইটি/আইটিইএস খাতে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ২০১০ সালে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এটি পরিচালনায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর সভাপতিত্বে নির্বাহী কমিটি এবং প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বোর্ড অব গর্ভনেন্স (বিওজি) রয়েছে।

হাইটেক পার্কের তথ্য অনুযায়ী, তাদের প্রকল্পের মোট ব্যয় তিন হাজার ১০৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত তাদের ৩টি পার্ক নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জনতা টাওয়ার সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, যশোরে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, নাটোরে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার। এ ছাড়া গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাই-টেকসিটির নির্মাণকাজ চলছে।

সরেজমিনে বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি হচ্ছে জাতীয় তথ্যভান্ডার বা জাতীয় ডেটা সেন্টার। এটিকে ‘হার্ট অব ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বলছেন সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা। তাঁরা বলছেন, জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ডেটা সেন্টার আগামী জুন মাস নাগাদ পুরোপুরি কার্যক্রম শুরু হবে এর। তখন চাইলে বাণিজ্যিকভাবে কাজ শুরু করা যাবে। সেখানে সামিট টেকনো পলিশ লিমিটেডের ৬০ হাজার বর্গফুটের শিল্প ভবনের কাজ শেষ। যুক্তরাজ্য ভিত্তিক কোম্পানি ভাইব্রেন্ট সফটওয়্যারের নির্মাণাধীন ভবনের ৬০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশ টেকনো সিটির ২ লাখ বর্গ ফুটবিশিষ্ট ৮ তলা ভবনের ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে ২৬টি দেশি বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এখান থেকে তারা ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, পিসি ও বিভিন্ন এক্সেসরিজ তৈরি বা সংযোজন করবে।

তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে বিনিয়োগ হবে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যার মাধ্যমে কর্মসংস্থান হবে প্রায় এক লাখ তরুণ-তরুণীর। বর্তমানে এই পার্ক থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আইটি পণ্য রপ্তানি শুরু করেছে।

হাইটেক পার্কের তথ্য অনুযায়ী, তাদের ৩টি পার্ক, বঙ্গবন্ধু হাই-টেকসিটি এবং ১৩টি বেসরকারি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে এ পর্যন্ত ৮ হাজারের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এর মধ্যে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ৪ হাজার ৪৭৬ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত ১১ হাজারের বেশি ব্যক্তিকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তিন হাজার ১০০ জনের প্রশিক্ষণ চলমান এবং আরও ৪৫ হাজার জনের প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক কোম্পানির সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ৬৬টি প্রতিষ্ঠানকে সার্টিফিকেশনের জন্য সহায়তা দিয়েছে হাইটেক পার্ক।

বাস্তবতা
সরকরি তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর প্রায় ৩০ লাখ যুবক দেশের শ্রমবাজারে প্রবেশ করে। সরকার প্রতি বছর নিয়ম করে কিছু চাকরির ব্যবস্থা করে। কিন্তু বিপুল চাহিদার বড় অংশই প্রত্যাশা করে বেসরকারি খাতের কাছে। এই তরুণ জনগোষ্ঠীকে চাকরি বা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তুলতে হাইটেক পার্ক ঘিরে মানুষের প্রত্যাশা অনেক। এর খানিকটা চিত্র দেখা যায় ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর যশোর শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে। ওই পার্কে সেদিন আয়োজন করা হয়েছিল চাকরি মেলার। ঢাকা থেকে ৩০ টির মতো দেশি-বিদেশি কোম্পানি এতে অংশ নেয় কর্মী নিয়োগ দেবে বলে। কথা ছিল, প্রার্থীরা মেলায় এসে কোম্পানিগুলোর স্টল ঘুরে কোথায় কি চাকরি-যোগ্যতা ইত্যাদি জেনে উপযুক্ত জায়গায় সিভি জমা দেবে। এরপর তা বাছাই করে স্পট ইন্টারভিউয়ে প্রাথমিক প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। কিন্তু প্রার্থীদের জনসমুদ্রের স্রোতে পরিস্থিতি সামলাতে হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। মেলার ভেতরে ঢুকতে না পেরে পুলিশের কাছে, গেটের দিকে ছুড়ে সিভি ফেলে যায় প্রার্থীরা। দিন শেষে হাজার হাজার সিভির স্তূপ জমে পাহাড় হয়ে যায়।

যশোরের হাইটেক পার্ক এখন পুরোপুরি চালু হয়েছে। সেখানে যে ২৫টি প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি কাজ শুরু করেছে। এর মধ্যে একটি বিদেশি প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান ১৫ টির মতো। বাকিগুলো ঢাকাভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শাখা। সেখানে জায়গা বরাদ্দ পেলেও অনেক প্রতিষ্ঠান এখনো কাজ শুরু করেনি। সব মিলিয়ে এ পার্কে ৩০০ থেকে ৪০০ কর্মসংস্থান হয়েছে। এখানকার কর্মীদের অধিকাংশ খন্ডকালীন কাজ করছেন। তাঁদের বেতন ৫ থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে। সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে গড়ে ওঠা দেশের অন্যতম বৃহৎ হাইটেক পার্ক সিলেট ইলেকট্রনিকস সিটির মৌলিক অবকাঠামোগত কাজ শেষ পর্যায়ে। ডিসেম্বরে অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প শেষ করার কথা থাকলেও জুলাই মাস নাগাদ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্পে পরিচালক সরওয়ার আহমেদ। তিনি বলেন, প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখানে ওয়ানস্টপ সার্ভিসের আওতায় বিনিয়োগকারীদের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হবে।

এ পার্কে অন্তত ৫০ হাজার দক্ষ লোকের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ। রাজধানীর কাওরান বাজারে ২০১৫ সালে চালু হওয়াজনতা টাওয়ার টেকনোলজি পার্কে ১৫টি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক আইটি কোম্পানি ও ৫০টির মতো উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান বিনা মূল্যে প্রয়োজনীয় জায়গা পেয়েছে। সফটওয়্যার পার্কের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গড়ে ১০ থেকে ৫০ জনের মতো কর্মী কাজ করছেন। রাজশাহীর হাইটেক পার্কে ১৪ হাজার জনের কর্মসংস্থানের আশা করছে সরকার। এর বাইরে সরকার ৩ হাজার ৫৩০ জনের চাকরির সংস্থানের জন্য ১২টি সংস্থা ও বেসরকারি ইন্সটিটিউটকে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক হিসেবে ঘোষণা করেছে। এসব পার্কও সরকারি হাই-টেক ও সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের মতো সুবিধা পাচ্ছে। এর মধ্যে ডেটাসফট সিস্টেমস বাংলাদেশ লিমিটেড ও বিজেআিইটি লিমিটেড থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আসছে বলে দাবি করছে সরকার।

বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ১২টি জেলায় আইটি পার্ক স্থাপনের লক্ষ্যে প্রকল্প গ্রহণ করেছে। জেলাগুলো হচ্ছে—রংপুর, নাটোর (সিংড়া), খুলনা (কুয়েট), বরিশাল (সদর), ঢাকা (কেরানীগঞ্জ), গোপালগঞ্জ (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়), ময়মনসিংহ (সদর), জামালপুর (সদর), কুমিল্লা (সদর দক্ষিণ), চট্টগ্রাম (সদর), কক্সবাজার (রামু) ও সিলেট। নির্বাচিত প্রতিটি জেলায় একটি করে মাল্টি-টেন্যান্ট ভবন (১,০৫, ০০০ বর্গফুট, ৭ তলা) ; ক্যান্টিন ও অ্যাম্ফিথিয়েটার ভবন (২১,০০০ বর্গফুট, ৩ তলা) নির্মাণ করা হবে। একইসাথে নির্ধারিত জেলাসমূহের মধ্যে ৮টি জেলার প্রতিটিতে একটি করে ৩ তলা বিশিষ্ট ডরমেটরি ভবন (১৮,০০০ বর্গফুট) নির্মাণ করা হবে। এই প্রকল্পের আওতায় দেশের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপন করা হবে। জুন ২০২০ এর মধ্যে বাস্তবায়নাধীন পার্কগুলোতে মোট ৬০ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। এ প্রকল্পে এখন পর্যন্ত মাত্র ১ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ২০২১ সালের হাইটেক পার্কের কাজ শেষ হলে সরাসরি কর্মসংস্থানের পাশাপাশি পরোক্ষভাবে প্রায় ২০ লাখ মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। তথ্যপ্রযুক্তিখাতে দক্ষতা অর্জন করতে পারলে কাউকে আর কর্মসংস্থান নিয়ে ভাবতে হবে না। ২৮টি পার্কের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে আইটি শিল্পের জন্য ২৮ লাখ ৭২ হাজার বর্গফুট স্পেস গড়ে উঠবে।

সরকারের পক্ষ থেকে হাইটেক পার্ক ঘিরে যে প্রত্যাশা তা পূরণ করা সম্ভব বলে মনে করছেন তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীর। তিনি বলেন, হাইটেক পার্কের বিষয়টি শিল্পখাত ভিত্তিক। শিল্প ও প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলে কর্মসংস্থান তৈরি হবে। এটা করতে সময় লাগে। এ উদ্যোগ শুরু হয়েছিল চার বছর আগে। এখন থেকে ইন্ড্রাস্ট্রি ও সরকার মিলে একসঙ্গে কাজ করলে নির্দিষ্ট সময়ে লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব। তবে তরুণদের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য উদ্যোগ নিয়ে হবে। ইন্ড্রাস্টি থেকে পরামর্শ শুনে সে অনুযায়ী সরকারের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ইন্ড্রাস্টিকেও সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসতে হবে।

বেসিসের সাবেক সভাপতি ও ইজেনারেশনের চেয়ারম্যান শামীম আহসান বলেন, হাইটেক পার্ক ঘিরে প্রত্যাশা অনেক বেশি ছিল। এতদিনে কমপক্ষে লাখ খানেক কর্মসংস্থান করার কথা ছিল। সেদিক থেকে আমরা পিছিয়ে আছি। ঢাকা ও চট্টগ্রামে যেহেতু চাহিদা বেশি সেগুলোতে অহগ্রাধিকার প্রয়োজন ছিল। এখন লক্ষ্যের দিকে এগোতে হলে ফোকাস থাকতে হবে। দ্রুত ট্রেন যোগাযোগ প্রয়োজন হবে। ইন্ড্রাস্টি, একাডেমি ও সরকারের টাস্কফোর্স গঠন করে কাজ করতে হবে।

হাইটেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, শতভাগ অর্জন হয়ে গেছে—এখনই বলব না। তবে শিগগিরই আলোর মুখ দেখব। দুই তিনটি পার্ক এর মধ্যে কাজ শুরু করেছে। সেখানে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে। আমাদের কর্মপরিসর বড় ও ভালো হচ্ছে। আমাদের আরও অনেক কাজ করতে হবে। সরকারের সহায়তায় আমাদের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। আমাদের প্রত্যাশা পূরণ হবে।

এর আগে হোসনে আরা বেগম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি’ বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের প্রথম প্রকল্প। বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এ পার্কের প্রয়োজনীয় সকল অফসাইট ইনফ্রাস্ট্রাকচার নির্মাণের কাজ শেষ করেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভ ফর জবস’ শীর্ষক প্রকল্প এখানে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে কাজ করবে। এই কোম্পানিগুলো ও প্রকল্পটি এখানে ১৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ ও প্রায় ২০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।