দুই বছর ধরে স্মার্টফোনের বাজারের প্রবৃদ্ধি ছিল নিম্নমুখী। তবে চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিক, অর্থাৎ, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসে ঘুরে দাঁড়িয়েছে স্মার্টফোনের বাজার। এ সময় স্মার্টফোনের প্রবৃদ্ধি বাড়তে দেখা গেছে। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যানালিস ও স্ট্র্যাটেজি অ্যানালাইটিকসের পৃথক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ক্যানালিসের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় চলতি বছর স্মার্টফোনের বাজার প্রবৃদ্ধি এক শতাংশ বেড়েছে। স্ট্র্যাটেজি অ্যানালাইটিকস বলছে, চলতি বছর স্মার্টফোনের বাজার প্রবৃদ্ধি বাড়ার হার ২ শতাংশ।
ক্যানালিসের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর বাজারে এসেছে ৩৫ কোটি ২৪ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন। স্ট্র্যাটেজি অ্যানালাইটিকসের মতে, এ বছর বাজারে এসেছে ৩৬ কোটি ৬০ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন। স্মার্টফোনের বাজারের শীর্ষস্থান যথারীতি ধরে রেখেছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান স্যামসাং। এর পরই রয়েছে চীনা স্মার্টফোন নির্মাতা হুয়াওয়ে। বাজারের তৃতীয় স্থান দখলে রেখেছে মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল। বাজারে চতুর্থ ও পঞ্চম স্থান যথাক্রমে শাওমি ও অপোর।
স্ট্র্যাটেজি অ্যানালাইটিকসের পরিচালক উডি ওহ বলেন, ২০১৮ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে যেখানে ৩৫ কোটি ৯৮ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন বাজারে এসেছিল, তা এ বছরে ৩৬ কোটি ৬৩ লাখে পৌঁছেছে। ২০১৭ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের পর এবারই প্রথম স্মার্টফোনের বাজারে প্রবৃদ্ধি দেখা গেল। বিশ্বজুড়ে স্মার্টফোনের চাহিদা বাড়ছে। স্মার্টফোনের প্রতিযোগিতামূলক দাম ও নির্মাতাদের মধ্যে প্রতিযোগিতার ফলে গ্রাহকেরা স্মার্টফোনে ঝুঁকছেন। এ ছাড়া বড় মাপের স্ক্রিন ও ৫-জি সংযোগের প্রতি আগ্রহ থেকে নতুন স্মার্টফোনে ঝুঁকছেন গ্রাহক।
স্ট্র্যাটেজি অ্যানালাইটিকসের তথ্য অনুযায়ী, গত প্রান্তিকে ৭ কোটি ৮২ লাখ স্মার্টফোন বাজারে এনে বাজারের ২১ দশমিক ৩ শতাংশ বাজার দখলে রেখেছে স্যামসাং। আর ৬ কোটি ৬৭ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন এনে বাজারের ১৮ দশমিক ২ শতাংশ দখলে রেখেছে হুয়াওয়ে। এ ছাড়া ১২ দশমিক ৪ শতাংশ বাজার দখল করেছে অ্যাপল। বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ৪ কোটি ৫৬ লাখ ইউনিট ফোন এনেছে অ্যাপল। ৩ কোটি ২৩ লাখ ও ২ কোটি ৯৪ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন বাজারে এনে চতুর্থ ও পঞ্চম স্থান দখল করেছে শাওমি ও অপো। বাজারে অন্যান্য স্মার্টফোন নির্মাতাদের দখল কমেছে এবং স্মার্টফোন বিক্রিও কমেছে।