অ্যাপ ছাড়াও বিভিন্ন কারণে আমাদের স্মার্টফোনের ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে যায়। স্মার্টফোনের সেটিংস পরিবর্তন করে ব্যাটারির চার্জ বাঁচানো যায়। স্মার্টফোনের ব্যাটারির চার্জ বাঁচানোর কৌশলগুলো জেনে নিন।
স্ক্রিনের আকার বড় হওয়ায় টেলিভিশনের বদলে স্মার্টফোনেই পছন্দের অনুষ্ঠান, ভিডিও বা সিনেমা দেখেন অনেকে। তবে আপনি জানেন কি, স্মার্টফোনের এই বড় স্ক্রিনই কিন্তু ব্যাটারির চার্জ শেষ করার জন্য অনেকাংশেই দায়ী। তবে ব্যাটারি বেশি খরচ করে বলে কি আমরা স্মার্টফোন কম ব্যবহার করব? মোটেই তা নয়। ব্যাটারির খরচ কমাতে স্মার্টফোনে কিন্তু চমৎকার একটি ফিচার রয়েছে, যা অ্যাডাপ্টিভ ব্রাইটনেস নামে পরিচিত। ফিচারটি চালু থাকলে আশপাশের আলো পর্যালোচনা করে স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা কমে বা বৃদ্ধি পায়। স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা কম হলে ব্যাটারিও কম খরচ হবে।
রাতে স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় বিভিন্ন অ্যাপের ডার্ক মোড ফিচার ব্যবহার করেও ব্যাটারি খরচ কমানো যায়। এর পাশাপাশি স্মার্টফোনের লাইভ ওয়ালপেপারের বদলে কালো রঙের ওয়ালপেপার ব্যবহার করেও উপকার পাওয়া যাবে।
ঘরে বা বাইরে অনেক সময় ভালো মানের মোবাইল নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না। নেটওয়ার্কের সমস্যা হলে আপনার স্মার্টফোন মোবাইল টাওয়ারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করার চেষ্টা করতে থাকে। এতে ব্যাটারির চার্জ বেশি খরচ হয়। সমস্যা সমাধানে আপনার এলাকায় যে মোবাইল অপারেটরের নেটওয়ার্ক ভালো সে প্রতিষ্ঠানের সিম ব্যবহার করতে পারেন। নম্বর পরিবর্তন করা সম্ভব না হলে নেটওয়ার্ক এক্স টেন্ডার বা সিগন্যাল বুস্টার ব্যবহার করেও স্মার্টফোনের ব্যাটারির চার্জ বাঁচানো যায়।
কাজের সময় আমরা সাধারণত ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাপগুলো ব্যবহার করি না। তবে বন্ধ থাকলেও অ্যাপগুলো কিন্তু ঠিকই বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের জন্য স্মার্টফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকে। ফলে ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে যায়। আপনি চাইলেই ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকা অ্যাপের কার্যক্রম নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ রাখতে পারেন। এ জন্য Settings থেকে Apps অপশনে প্রবেশ করে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলো নির্বাচন করুন। এবার Advanced থেকে Battery অপশন থেকে Restricted নির্বাচন করলেই অ্যাপগুলোর কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। এর পাশাপাশি প্রয়োজন না থাকলে স্মার্টফোনের ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রেখেও ব্যাটারির খরচ বাঁচানো যায়।
স্মার্টফোনের জিপিএস লোকেশন, ওয়াই-ফাই এবং ব্লুটুথ সেবাগুলো ব্যাটারি বেশি খরচ করে। আর তাই প্রয়োজন ছাড়া জিপিএস লোকেশন, ওয়াই-ফাই এবং ব্লুটুথ সেবা বন্ধ রাখাই ভালো।