ভুয়া অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সৌদি আরব থেকে ফেসবুক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছিল। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছেন বলে তারা ধরতে পেরেছে। এ ধরনের কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ৩০০ অ্যাকাউন্ট ও পেজ সরিয়ে ফেলেছে তারা। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার ফেসবুক ব্যবহারকারীদের লক্ষ্য করে আরবি ভাষায় নানা অপপ্রচার চালাচ্ছিলেন সৌদি সরকার–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। চলতি সপ্তাহে ফেসবুক প্ল্যাটফর্ম ও ইনস্টাগ্রামে ‘সমন্বিত অসংলগ্ন আচরণের’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে তারা।
কোনো সরকারি কার্যক্রমের সঙ্গে ‘সমন্বিত অসংলগ্ন আচরণের’ বিষয়টি যুক্ত করে সবার সামনে তুলে ধরা ফেসবুকের মতো প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সহজে চোখে পড়ে না।
সৌদি আরবের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
ফেসবুক বলেছে, সৌদি আরব থেকে অ্যাকাউন্ট ও পেজগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়েছিল, যাতে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোর অ্যাকাউন্ট বা স্থানীয় গণমাধ্যমের মতো মনে হয়।
ফেসবুকে ভুয়া তথ্য ছড়ানো ঠেকাতে ব্যর্থতার অভিযোগে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সমালোচনার মুখে পড়েছে।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলেছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসর থেকে সৃষ্টি করা বেশ কিছু পেজ ও অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে তারা। এ অ্যাকাউন্টগুলো থেকেও সমন্বিতভাবে ভুয়া তথ্য ছড়ানো হচ্ছিল। তবে এগুলোর সঙ্গে সরকারের যোগসূত্র পায়নি তারা।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলেছে, যেসব পেজ বন্ধ করা হয়েছে, এসব পেজে অ্যাডমিনরা বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয়ে আরবিতে পোস্ট করতেন। এর মধ্যে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও তাঁর অর্থনৈতিক পরিকল্পনা, সৌদি সেনাবাহিনীর সাফল্য প্রচার করা হতো। এর বাইরে ইরান, কাতার, তুরস্কের মতো প্রতিবেশী দেশের সমালোচনা করে নানা পোস্ট দেওয়া হতো। এসব অ্যাকাউন্টের পেছনের ব্যক্তিরা পরিচয় আড়াল করার চেষ্টা করলেও ফেসবুক তাঁদের ধরতে পেরেছে। এসব পেজে ১৪ লাখের বেশি ফলোয়ার ছিল। এসব পেজ থেকে এক লাখ মার্কিন ডলারের বেশি বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল।