ডিজিটাল বাংলাদেশের উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশ সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও নিজেদের সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে ‘জাতীয় সাইবার ড্রিল-২০২০’ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জুনাইদ আহমেদ বলেন, গত ১২ বছরে যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে, তা শুধু সেবা প্রদান, ইন্টারনেট সংযোগ, ফ্রিল্যান্সিংয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই; সাইবার নিরাপত্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও তরুণ প্রজন্ম তৈরি হচ্ছে। এই সাইবার ড্রিলের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে বাংলাদেশ সাইবার নিরাপত্তার জায়গায় কতটা সক্ষম।
ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি ইনডেক্স সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন ৬৫তম স্থানে। দক্ষিণ এশিয়াতেও বাংলাদেশের অবস্থান ভালো। বিশ্বের সবচেয়ে সাইবার নিরাপদ দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তোলার কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। এ ছাড়া বলেন, বাংলাদেশ হবে নিরাপদ ডিজিটাল বাংলাদেশ।
জুনাইদ আহমেদ বলেন, একটি দেশের নিরাপত্তার জন্য যেমন বিভিন্ন বাহিনীর থাকে, তেমনি সাইবার নিরাপত্তার জন্যও একটি দল দরকার। ইথিক্যাল হ্যাকার্স ফোরাম করারও চিন্তা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
সাইবার ড্রিল প্রতিযোগিতার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই। তিনি আরও বলেন, আগামী পাঁচ বছরে এক হাজার সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ তৈরি করা হবে।
প্রথমবারের মতো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের পক্ষে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল জাতীয় সাইবার ড্রিল ২০২০ আয়োজন করে। সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ও স্বতন্ত্রভাবে ২৩৩টি দলে ১ হাজার ৬ জন এতে অংশ নেন। প্রতিযোগিতায় প্রথম হয় সিলিকনসবিটস, দ্বিতীয় দ্য ইনফিনিটি বাইটস এবং তৃতীয় হেইমডাল।
ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতিম দেব, বিজিডি ই-গভ সার্টের প্রকল্প পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহ, এরকাল বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবাবা দৌলা প্রমুখ।