ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট বা ভার্চ্যুয়াল জগতে সহকারী হিসেবে কাজের চাহিদা বাড়ছে। ২০২১ সাল নাগাদ ডিজিটাল খাতের কর্মীদের শতকরা ২৫ ভাগ দৈনিক ভিত্তিতে ভার্চ্যুয়াল সহকারীর সঙ্গে কাজ করবেন বলে জানান। বর্তমানে ২ শতাংশের কমে ভার্চ্যুয়াল সহকারী ব্যবহৃত হচ্ছে। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
গার্টনারের তথ্য অনুযায়ী, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় নানা ধরনের ভার্চ্যুয়াল সহকারীর দেখা মিলছে। এর মধ্যে ভার্চ্যুয়াল প্রাইভেট অ্যাসিস্ট্যান্ট (ভিপিএ), ভার্চ্যুয়াল কাস্টমার অ্যাসিস্ট্যান্ট (ভিসিএ) ও ভার্চ্যুয়াল এমপ্লয়ি অ্যাসিস্ট্যান্ট (ভিইএ)।
গার্টনারের জ্যেষ্ঠ পরিচালক অ্যানেটি জাম্প বলেন, ভার্চ্যুয়াল সহকারী হিসেবে আগামী তিন বছরে ভার্চ্যুয়াল এমপ্লয়ি অ্যাসিস্ট্যান্টের (ভিইএ) ব্যবহার বাড়বে। অর্থ ও বিমা খাতে এ ধরনের ভার্চ্যুয়াল সহকারীর আগ্রহ বাড়ছে। এর বাইরে তথ্যপ্রযুক্তি, গ্রাহকসেবা ও কলসেন্টারেও ভার্চ্যুয়াল সহকারীর ব্যবহার বাড়তে দেখা গেছে। উদাহরণ হিসেবে আমাজনের অ্যালেক্সা ও নকিয়ার মিকার কথা বলা যায়।
অ্যানেটি জাম্প বলেন, ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যানের ব্যবহারে কর্মক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বাড়বে।
বিশ্বজুড়ে ভিএ ও চ্যাটবটের ক্ষেত্রে হাজারের বেশি সরবরাহকারী রয়েছে। তবে আগামী কয়েক বছরে ভার্চ্যুয়াল সহকারীর নতুন দক্ষতা আসলে এ খাতে প্রতিযোগিতা বাড়বে ও পুরো চিত্র বদলে যাবে।
গার্টনারের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৩ সাল নাগাদ কণ্ঠস্বরের মাধ্যমে ২৫ শতাংশ ডিজিটাল কর্মী ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্যবহার শুরু করবেন। এখন পর্যন্ত অধিকাংশ সহকারী টেক্সটভিত্তিক। তবে শিগগিরই এআই ভিত্তিক ভয়েস টু টেক্সট ও টেক্সট টু ভয়েস প্ল্যাটফর্ম গড়ে উঠছে। আমাজন ইকো, অ্যাপল হোমপড, গুগল হোমের মতো পণ্য ব্যবসার কাজে লাগানোর চাপ বাড়বে। ২০২১ সাল নাগাদ ভিপিএ স্পিকারে ব্যয় দাঁড়াবে ৩৫০ কোটি মার্কিন ডলার।