চাকরির ক্ষেত্রে শারীরিকভাবে অক্ষম মানুষের জন্য সুখবর বয়ে আনতে পারে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। আধুনিক প্রযুক্তি শারীরিক প্রতিবন্ধী মানুষের বন্ধু হয়ে উঠবে বলেই পূর্বাভাস দিচ্ছে বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনার। তাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৩ সাল নাগাদ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের চাকরির সুযোগ তিনগুণ বেড়ে যাবে।
গার্টনারের ফেলো ডেরিল প্ল্যামার বলেন, দক্ষ প্রতিভাসম্পন্ন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করার একটি সুযোগ রয়েছে। এআই, অগমেন্টেড রিয়্যালিটি (এআর), ভার্চুয়্যাল রিয়্যালিটির (ভিআর) মতো আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করার নতুন সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
উদাহরণ হিসেবে প্ল্যামার বলেন, অনেক রেস্তোরাঁয় রোবট পরিবেশনকারী নিয়োগ করা হচ্ছে। এই রোবট পরিচালনায় যুক্ত হচ্ছেন শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিরা। যেসব প্রতিষ্ঠানে বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন এমন ব্যক্তিকে কর্মী হিসেবে নিয়োগ দেয়, তাদের সুনাম বাড়ার পাশাপাশি ৭২ শতাংশ উৎপাদনশীলতা বাড়ে। এ ছাড়া কর্মী ধরে রাখার হারও ৮৯ শতাংশ বাড়ে। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের লাভ ২৯ শতাংশ বেড়ে যায়।
গার্টনারের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২০ সালের পর থেকে এইআইয়ের পেছনে ছুটবে প্রতিষ্ঠানগুলো। ক্রেতার আবেগ ও আচরণ বিশ্লেষণ করে তার কেনাকাটার তথ্য বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে এই বুদ্ধিমত্তা কাজ করবে। ভবিষ্যতে মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে এআই ও মেশিন লার্নিংকে (এমএল) কেনাকাটার ক্ষেত্রে শীর্ষ তিনে স্থান দিয়েছেন ২৮ শতাংশ ক্রেতা।