থাইল্যান্ডের চিয়াংমাইয়ে অনুষ্ঠিত ২১তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে ১টি স্বর্ণসহ মোট ১০টি পদক পেয়েছে বাংলাদেশ দলের খুদে সদস্যরা। তারা পেয়েছে ১টি স্বর্ণ, ২টি রৌপ্য, ৬টি ব্রোঞ্জ ও ১টি কারিগরি পদক। বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টার সময় বিজয়ীদের পদক পরিয়ে দেওয়া হয়।
ক্রিয়েটিভ ক্যাটাগরিতে মোনামি দলের মীর উমাইমা হক ও আবরার শহীদ রাহিক পেয়েছে সোনার পদক। চ্যালেঞ্জ গ্রুপের রোবট ইন মুভি ও লাইন ফলোয়িং চ্যালেঞ্জে রুপার পদক পেয়েছে যথাক্রমে কাজী মোস্তাহিদ লাবিব ও নাশীতাত যাইনাহ রহমান এবং রাফিহাত সালেহ। ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে যারিয়া মুসাররাত ও যাহরা মাহযারীন পূর্বালী; সানি জুবায়ের, কাজী মোস্তাহিদ লাবিব ও নাশীতাত যাইনাহ রহমান; রাফিহাত সালেহ ও তাফসির তাহরীম; ছালওয়া মেহরীন ও তাশরিক আহমেদ; মোহাম্মদ জারিফ মাহবুব তালুকদার ও হাব সারার আহমেদ এবং তাফসির তাহরীম।
মীর উমাইমা হক ও আবরার শহীদ রাহিক কারিগরি পদক লাভ করেছে। ১৬ ডিসেম্বর থেকে ১৪টি দেশের প্রতিযোগীদের নিয়ে আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডের ২১তম আসর বসে। ১৫ ডিসেম্বর ১৫ সদস্যের বাংলাদেশ দল সেখানে যোগ দেয়।
দ্বিতীয়বারের মতো অংশ নেওয়া বাংলাদেশ দলের এই সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করে দলনেতা ও বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াডের সভাপতি লাফিফা জামাল প্রথম আলোকে বলেন, দীর্ঘ সময় নিয়ে প্রস্তুতি নেওয়ার কারণে আমাদের শিক্ষার্থীরা আশানুরূপ সাফল্য অর্জন করতে পেরেছে। সহযোগিতার জন্য তিনি সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ ও তাঁর বিভাগকে ধন্যবাদ জানান।
এ বছর বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াডের জাতীয় পর্বের আগে ২৫টি জেলায় ৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অ্যাকটিভেশন প্রোগ্রাম আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ দল নির্বাচনের জন্য এ আয়োজনগুলোতে অংশ নেয় প্রায় চার হাজার শিক্ষার্থী। সব অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় পর্ব। জাতীয় পর্বে ২১টি জেলার ১৩৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩৭৯ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। এরপর ক্যাম্প ও ধারাবাহিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দল নির্বাচন করা হয়। দলের সদস্যদের নিবিড় প্রশিক্ষণ প্রদান করে মাকসুদুল আলম বিজ্ঞানাগার (ম্যাসল্যাব), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিকস বিভাগ ও ইএমকে সেন্টার। বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াডের আয়োজক বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ।
আয়োজনে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে আইসিটি বিভাগ, বিকাশ ও রূপালী ব্যাংক লিমিটেড। সহযোগী হিসেবে ছিল সিরেনা টেকনোলজিস, ইএমকে সেন্টার, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, অ্যাম্বার আইটি, নাগরিক টিভি, ঢাকা এফএম, কিশোর আলো ও বিজ্ঞানচিন্তা।