কানাডার ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা সম্প্রতি একটি রাডার তৈরি করেছেন, যা দূর থেকে রোগীর নানা উপসর্গ শনাক্ত ও পর্যবেক্ষণ করতে পারে। এ ধরনের রাডার ব্যবহার করা গেলে বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রের ওপর নির্ভরশীলতা কমে যাবে।
গবেষণাসংক্রান্ত এই নিবন্ধ ‘আই ট্রিপলই অ্যাকসেস’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।
মোবাইল ফোনের চেয়েও ছোট আকারের একটি ডিভাইসের মধ্যে বসানো এ প্রযুক্তি হৃৎস্পন্দন ও শ্বাস-প্রশ্বাসের হার রেকর্ড করতে পারে। ওই রাডার তরঙ্গ ডিজিটাল সিগন্যাল প্রসেসিং ইউনিটে থাকা বিশেষ অ্যালগরিদমের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করা যায়।
নিদ্রাহীনতা বা ‘স্লিপ অ্যাপনিয়া’র মতো সমস্যাগুলোর ক্ষেত্রে পরীক্ষাগারে বিভিন্ন তার ও সেন্সর বসিয়ে পরীক্ষার বদলে হৃদ্যন্ত্রের সূক্ষ্ম আন্দোলন ধরতে এ যন্ত্র কাজে লাগবে।
ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক জর্জ শাকের বলেন, পুরো জটিল প্রক্রিয়াকে পুরো তারহীন করা হয়েছে। ক্লিনিকে গিয়ে পরীক্ষার বদলে সহজে নিজের বিছানায় বা সুবিধাজনক অবস্থানে এটি ব্যবহার করা যাবে।
গবেষকেরা ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবীর ওপর যন্ত্রটি নিয়ে পরীক্ষা চালান। তাঁরা দাবি করেন, এতে ৯০ শতাংশ নিখুঁত ফল পেয়েছেন তাঁরা।
গবেষকেরা বলেন, প্রথমবারের মতো অনিয়ন্ত্রিত পরিবেশে রাডার তরঙ্গ ব্যবহার করে হৃদ্যন্ত্র পর্যবেক্ষণে নিখুঁত ফল পাওয়া গেল। এ পদ্ধতি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের নড়াচড়া শনাক্তকরণ, খিঁচুনির মতো বিষয়গুলোতেও প্রয়োগ করা যাবে। কবে নাগাদ এ যন্ত্রের ব্যবহার শুরু হবে, তা এখনো জানা যায়নি।