মুখে হাসি তবে চোখে জল, এমন একটি ইমোজির ব্যবহার প্রায়ই দেখা যায় ফেসবুকসহ যেকোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সে ইমোজির নাম ‘টিয়ার্স অব জয়’, বাংলায় আনন্দাশ্রু। ইমোজিটি ২০২১ সালে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা ইমোজির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। বছরজুড়ে ইমোজিটি ব্যবহার করা হয়েছে ৫ শতাংশের বেশি।
বিশ্বের ভাষাগুলোর ডিজিটাল সংস্করণ তৈরির দায়িত্ব ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম নামের অলাভজনক সংস্থার। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নতুন ইমোজি যুক্ত করার ভারও তাদেরই। কারণ, ইমোজি তো ভাষার বিকল্প হিসেবেই ব্যবহার করা হয়। সেই সংস্থাই এ তালিকা তৈরি করে, যেখানে দ্বিতীয় স্থানে আছে ‘হার্ট’ বা হৃদয়ের চিহ্ন। আর তৃতীয় স্থানে রয়েছে ‘রোলিং অন দ্য ফ্লোর লাফিং’ বা হাসিতে গড়াগড়ি খাওয়ার ইমোজি (ছবিতে দেখে নিতে পারেন)।
করোনার সময়ে অনলাইনে যোগাযোগ বেড়েছে। সে সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে ইমোজির ব্যবহারও। তবে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ইমোজির তালিকায় করোনা-পূর্ব ২০১৯ সালের তালিকার সঙ্গে খুব একটা পরিবর্তন নেই। সেবারও টিয়ার্স অব জয় এবং হার্ট ইমোজি দুটি শীর্ষেই ছিল। ক্রমে কিছুটা হেরফের থাকলেও ২০১৯ এবং ২০২১ সালের তালিকায় শীর্ষ ১০ ইমোজির ৯টির মধ্যেই মিল আছে।
ওই একই জরিপের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সব মিলিয়ে ৩ হাজার ৬৬৩টি ইমোজি থাকলেও, শীর্ষ ১০০ ইমোজির ব্যবহার সব মিলিয়ে ৮২ শতাংশ।
তাহলে কোন ইমোজিগুলোর জনপ্রিয়তা সবচেয়ে কম? শ্রেণি হিসেবে ধরলে পতাকার ইমোজিগুলো চলতি বছরে সবচেয়ে কম ব্যবহার করা হয়েছে। আর পতাকার ইমোজির মধ্যে দেশের পতাকার ইমোজির ব্যবহার ছিল সবচেয়ে কম।