যুক্তরাষ্ট্রের ২০ কোটির বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী একটি বার্তা পেয়েছেন। বার্তাটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাঠানো ‘প্রেসিডেনশিয়াল অ্যালার্ট’ নোটিফিকেশন। জরুরি বার্তা পাঠানোর পদ্ধতি পরীক্ষা করতে ওই বার্তা পাঠানো হয়েছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের জরুরি বার্তার মতো এ ধরনের বার্তা পাঠানো ঠেকানোর কোনো পদ্ধতি ব্যবহারকারীর হাতে থাকবে না। অর্থাৎ ফোন বন্ধ রাখলে বা মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখলেই কেবল এ বার্তা আসবে না।
অনেকে একে ‘ট্রাম্প অ্যালার্ট’ বললেও এর সঙ্গে সরাসরি মার্কিন প্রেসিডেন্ট যুক্ত নন। এটি পরিচালনা করছে ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি (ফেমা)। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জরুরি কোনো বার্তা সবার কাছে পৌঁছাতে এ পদ্ধতির সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করবে তারা।
এ পদ্ধতিতে জরুরি হুমকির বিষয়ে সতর্ক থাকতে বার্তা পাঠানো হবে। জরুরি হুমকির মধ্যে রয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, সন্ত্রাসী কার্যক্রম, প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রভৃতি।
এ বার্তা পাঠানোর সময় একটি শব্দ হয় এবং বাতায় লেখা ছিল ‘দিস ইজ আ টেস্ট অব দ্য ন্যাশনাল ওয়্যারলেস ইমার্জেন্সি অ্যালার্ট সিস্টেম। নো অ্যাকশন ইজ নিডেড’। ২০১৫ সালে এ সিস্টেম চালু হয়। প্রতি তিন বছর অন্তর একবার এটি পরীক্ষা করে দেখার কথা বলা হয়। এটি গত সেপ্টেম্বর মাসে চালু করার কথা থাকলেও হারিকেন ফ্লোরেন্স নিয়ে মানুষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে এটি পরে পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত হয়।
বার্তা পাওয়ার পর টুইটার ও ফেসবুকে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়। অনেকেই এ ধরনের সতর্ক বার্তা পাঠানোর গুরুত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অনেকেই বার্তা না পাওয়ার কথাও বলেছেন। কেউ কেউ এ নিয়ে কৌতুক করেছেন।
মার্কিন কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এ পদ্ধতির অপব্যবহার রোধে সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা জননিরাপত্তায় ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
একজন সাংবাদিকসহ তিনজনের একটি দল ফেমার বিরুদ্ধে মামলা করার কথা বলেছে। তারা বলছে, এ পদ্ধতি তাদের অধিকারের লঙ্ঘন। সরকারের কথা শুনতে বাধ্য নয় তারা। এ ছাড়া তারা অভিযোগ করছে, এ পরীক্ষা শিশুদের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে এবং তা অপব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।