চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে চুরি করে নেওয়ার কোনো বিষয় চীনের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হবে না। এমনকি ভিডিও শেয়ারের অ্যাপ টিকটকের নির্মাতা বাইটড্যান্সকে কেনার জন্য ওয়াশিংটনের চাপ প্রয়োগের পাল্টা জবাব তারা দিতে সক্ষম। চীনের রাষ্ট্রসমর্থিত পত্রিকা চায়না ডেইলির এক সম্পাদকীয়তে এসব কথা বলা হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে টিকটকের মার্কিন অপারেশন পুরোপুরি কেনার জন্য মাইক্রোসফটের ওপর চাপ দেওয়া হচ্ছে। গত রোববার যুক্তরাষ্ট্রের মাইক্রোসফট করপোরেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা জনপ্রিয় সংক্ষিপ্ত ভিডিও তৈরির অ্যাপ টিকটককে বাইটড্যান্সের কাছ থেকে কিনে নেওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ চুক্তি সম্পন্ন করে ফেলতে চায় তারা। ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোনো মার্কিন কোম্পানি যদি টিকটককে কিনে নিতে ব্যর্থ হয়, তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট টিকটককে নিষিদ্ধ করার কথা বলেছেন।
চায়না ডেইলি জানিয়েছে, চীনা কোম্পানিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির বিষয়টি তাদের আমেরিকা ফার্স্ট নীতির লক্ষ্য অর্জনে কোনো ফল যোগ করবে না। এর ফলাফল হিসেবে চীনকে হয় মাথা নোয়াতে হবে, না হয় প্রযুক্তি দুনিয়ায় মরণপণ যুদ্ধ চালাতে হবে। যদি মার্কিন কর্তৃপক্ষের চীনা কোম্পানিগুলোকে গুঁড়িয়ে দিতে হস্তগত করার পরিকল্পনা থাকে, তবে চীনের তার জবাব দেওয়ার অনেক পথ খোলা আছে।
জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে ট্রাম্প টিকটক বন্ধ করে দেওয়ার অথবা একে কিনে নেওয়ার জন্য ৪৫ দিনের সময় বেঁধে দেওয়ার পর মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ গত সোমবার বলেছে, তারা দ্রুত আলোচনা এগিয়ে নিচ্ছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, চীনা সফটওয়্যার কোম্পানি যেগুলো চীনবে তথ্য দেয়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছেন ট্রাম্প।
চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির অফিশিয়াল পত্রিকা পিপল ডেইলি পরিচালিত গ্লোবাল টাইমস বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের কালো তালিকাভুক্ত বাইটড্যান্স ও হুয়াওয়ে টেকনোলজিসের প্রতি মার্কিন সরকার যে আচরণ করেছে, এতে মার্কিন সরকার চীনের সঙ্গে অর্থনীতি পৃথক করে ফেলতে চায়, তার প্রচেষ্টার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিগত শ্রেষ্ঠত্ব এবং এর মিত্রদের ওপর প্রভাব থাকার কারণে চীনা কোম্পানিগুলোকে সুরক্ষা দেওয়ার বা মার্কিন কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিরূপ আচরণের ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা রয়েছে চীনের।
গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাইরের বিশ্বে চীনের উন্মুক্ত নীতি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডিকোপলিং কৌশলকে বিচ্ছিন্ন করার বিষয়টি চীনের অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকা উচিত।