করোনাকালের লকডাউনে চিড়িয়াখানায় নেই দর্শনার্থী। এতে চেক রিপাবলিকের এক চিড়িয়াখানার শিম্পাঞ্জিরা নাকি একাকী হয়ে একঘেয়ে সময় কাটাচ্ছে। আর তাই ওদের আনন্দ দিতে নতুন এক পদ্ধতি অবলম্বন করেছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
ভিডিও কলে ওই চিড়িয়াখানার শিম্পাঞ্জিদের সঙ্গে দূরের আরেক চিড়িয়াখানার শিম্পাঞ্জিদের দেখা করিয়ে দেওয়া ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দেশটির উত্তরের শহর ডিভুর ক্রালোভের সাফারি পার্কে বড়সড় এক ডিসপ্লে বসানো হয়েছে। সেই ডিসপ্লেতে ভিডিও কলে দেশটির আরেক প্রান্তের শহর ব্রুনোর এক চিড়িয়াখানার শিম্পাঞ্জিদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হয়।
দুই চিড়িয়াখানার শিম্পাঞ্জিদের মধ্যে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে দেখা করার এই প্রকল্প শুরু হয় গত বৃহস্পতিবার। লকডাউনে শিম্পাঞ্জিদের জীবন স্বাভাবিক রাখার এবং আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা থেকেই এমন উদ্যোগ।
গত বছর ১৮ ডিসেম্বর থেকে দ্বিতীয় দফায় চিড়িয়াখানাটি দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। কবে খুলবে তা এখনো ঠিক করা হয়নি।
চিড়িয়াখানার কর্মকর্তা রাদেক লাভকা গত সোমবার বলেছেন, শিম্পাঞ্জিরা দর্শনার্থীর অভাব অনুভব করে, একঘেয়েমিতেও পেয়ে বসে ওদের। অন্য শিম্পাঞ্জিদের দেখে ‘এম’ নামের এক মেয়ে শিম্পাঞ্জি সবচেয়ে বেশি আনন্দিত হয়ে উঠেছে বলে জানান লাভকা।
সপ্তাহখানেক পরীক্ষা চালানোর পর ফল অনুযায়ী চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ ঠিক করবে প্রকল্পটি চালিয়ে যাওয়া হবে কি না। লাভকা বলেছেন, ‘ওদের দীর্ঘ সময় ধরে আনন্দে রাখা বেশ কঠিন।’
সূত্র: ইউএসএ টুডে