একটা স্মার্টফোনের দাম কত হতে পারে? বড়জোর এক বা দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ভাবা যেতে পারে। কিন্তু ফোনের দাম প্রায় ১২ লাখ টাকা হলে চোখ দুটো কপালে ওঠারই কথা। যুক্তরাজ্যের বিলাসবহুল ফোন নির্মাতা ভার্চু এ রকম দামি ফোন তৈরি করে থাকে। গত দেড় বছরে ভার্চু তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়েছিল। ভার্চু অ্যাস্টার পি নামের একটি স্মার্টফোন দিয়ে আবার বাজারে ফিরছে তারা। এ ফোনটি চীনের বাজারে বিক্রি করবে। ফোনটির একটি সংস্করণের দাম হবে চার লাখ টাকার মতো (৫ হাজার ডলার)। তবে এর সোনার প্রলেপ দেওয়া বিশেষ সংস্করণের দাম হবে প্রায় ১২ লাখ টাকা (১৪ হাজার ১৪৬ মার্কিন ডলার)।
এত দামি ফোনে কী থাকবে? প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যান্ড্রয়েড সেন্ট্রাল বলছে, ফোনটি ভার্চুর হাতে তৈরি (হ্যান্ডমেড) ফোনের বিশেষ সংস্করণ, যাতে টাইটেনিয়াম ফ্রেম ব্যবহৃত হয়েছে। এর ডিসপ্লেতে ১৩৩ ক্যারেট স্যাফায়ার ক্রিস্টাল গ্লাস প্যানেল রয়েছে। যাঁরা ফোনটি কিনবেন, তাঁরা এতে অ্যাকসেসরিজ হিসেবে গিরগিটির বা কুমিরের চামড়া বেছে নেওয়ার সুযোগ পাবেন।
ফোনটিতে ৪ দশমিক ৯ ইঞ্চি মাপের অ্যামোলেড ডিসপ্লে, স্ন্যাপড্রাগন ৬৬০ প্রসেসর, ৬ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি স্টোরেজ থাকছে। অ্যান্ড্রয়েড ৮.১ ওরিও সংস্করণের ফোনটির ব্যাটারি হবে ৩ হাজার ২০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার আওয়ার। এতে কুইকচার্জ ৩.০ প্রযুক্তি সমর্থন করে। এতে ইউএসবি-সি পোর্ট, এনএফসি, ব্লুটুথ ৫.০, ডুয়েল ব্যান্ড ওয়াই-ফাই সুবিধা থাকবে।
অন্যান্য ভার্চু ফোনের মতো অ্যাস্টার পি ফোনে বিশেষ রুবি বাটন থাকবে যা সব সময় ব্যক্তিগত সহকারীর ভূমিকা রাখবে। ভার্চু ক্রেতাদের বিশেষ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাবে প্রতিষ্ঠানটি। ফোনটির পেছনে ১২ মেগাপিক্সেল ও সামনে ২০ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা থাকছে। ফোনটি অনলাইনে আগাম ফরমাশ নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। ৩০ অক্টোবর থেকে এটি বিক্রি শুরু করবে।
এর আগে ভার্চু তিন কোটি টাকা দামের ফিচার ফোন বাজারে ছেড়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল। ভার্চু প্রিমিয়াম ফোনটির নাম ভার্চু সিগনেচার কোবরা। এ ফোন লিমিটেড এডিশন। দাম ৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২ কোটি ৯০ লাখ টাকা। ওই ফোনটিতে বিশেষ নকশা ব্যবহার করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। ফোনটির কোনা বেয়ে সাপের মতো আকার দেওয়া হয়। এতে বসানো হয় ৪৩৯টি রুবি আর ‘সাপের’ দুই চোখে এমারল্ডস। ফোনটিকে আরও সুন্দর করতে এতে সোনা ও ক্রিস্টাল ব্যবহার করা হয়। ফোনের নকশা করে ফ্রান্সের জুয়েলারি হাউস বুশেরন।