ভারতে দীর্ঘদিন জনপ্রিয় অ্যাপের তালিকার শীর্ষে ছিল চীনা নির্মাতাদের তৈরি অ্যাপ। গত বছর দেশটির শীর্ষ ১০০ অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপের ৪৪টিই ছিল চীনা প্রতিষ্ঠানের তৈরি।
এ বছর বদলেছে দৃশ্যপট। ভারতের স্থানীয় নির্মাতারা যে কোমর বেঁধে নেমেছেন, তা বোঝা যাচ্ছে। অ্যাপসফ্লায়ার নামের এক অ্যাপ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সামগ্রিকভাবে ভারতীয় অ্যাপ দেশটিতে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে।
২০১৯ সালের দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিকে গুগলের প্লে স্টোর এবং অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরের ভারতীয় সংস্করণের শীর্ষ ২০০ অ্যাপের ৪১ শতাংশ ছিল ভারতীয়দের দখলে। গত বছর পরিমাণটা ৩৮ শতাংশ ছিল বলে জানিয়েছে অ্যাপসফ্লায়ার। অন্যদিকে ৪৩ শতাংশ থেকে কমে এ বছর ৩৮ শতাংশে নেমেছে চীনা অ্যাপ।
পরিবর্তনের মূল কারণ হলো, গত দেড় বছরে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো নিজ দেশে অ্যাপ তৈরিতে অর্থ লেনদেন থেকে শুরু করে গেমিং, সংবাদ, বিনোদন—সব খাতে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করেছে।
চীনা নির্মাতারাও অবশ্য থেমে নেই। সমানে সমান টক্কর দিয়ে যাচ্ছেন। সবচেয়ে বড় কথা, ভারত তো চীনের কাছে বিদেশি বাজার। সেখানে স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে টক্কর দেওয়া কম কথা নয়।
ভারতে প্রায় ৪৫ কোটি স্মার্টফোন ব্যবহারকারী রয়েছেন। উন্মুক্ত বাজার তৈরিতে এ–সংক্রান্ত আইনকানুন কিছুটা শিথিল রেখেছে দেশটি। এ কারণেই শাওমি ও বাইটডান্সের মতো চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে ভারত অন্যতম বাজার। টিকটকের উদাহরণ দেওয়া যায়। দেশটিতে অ্যাপটির ব্যবহারকারী ২০ কোটি ছাড়িয়েছে।
ভারতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বাড়লেও তাঁদের আর্থিক সংগতি কম। আর এ কারণে অ্যাপ নির্মাতাদের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়। যেমন ভ্রমণবিষয়ক অ্যাপ তৈরিতে সব মিলিয়ে প্রতি ব্যবহারকারীর পেছনে নির্মাতাদের খরচ প্রায় ১৭০ ভারতীয় রুপি। খাবার–সংক্রান্ত অ্যাপে প্রতি ইনস্টলে ১৩৮ রুপি। অন্যদিকে গেমের বেলায় সাড়ে ১৩ রুপি খরচ হয় নির্মাতাদের। অবশ্য আয়ের পরিমাণটাও একদম খারাপ না। সূত্র: টেকক্রাঞ্চ