অনেকেরই দামি বিএমডব্লিউতে চড়ার শখ থাকে। কিন্তু কিছু দামি গাড়ি ফরমাশ দিয়ে তৈরি করতে হয় বলে সেসব গাড়িতে চড়ার অভিজ্ঞতা অনেকের থাকে না। এ ধরনের গাড়িতে চড়তে না পারলেও ভার্চ্যুয়াল জগতে এ ধরনের গাড়িতে চড়ার অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে স্মার্টফোনের অ্যাপ্লিকেশনে। সম্প্রতি অগমেনটেড রিয়্যালিটি ভিজুয়ালাইজার অ্যাপ উন্মুক্ত করেছে বিএমডব্লিউ। গুগলের ট্যাংগো থ্রিডি এআর টেকনোলজি ব্যবহার করে তৈরি করা বিশ্বের প্রথম অটোমোটিভ অ্যাপ এটি। গুগল প্লে স্টোরে অ্যাপটি ডাউনলোডের জন্য ছাড়া হয়েছে।
বিএমডব্লিউ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্যাংগো প্রযুক্তিসমর্থিত স্মার্টফোনে অ্যাপটি ইনস্টল করা হলে বিএমডব্লিউ গাড়িতে ভার্চ্যুয়াল ইন্টারঅ্যাকটিভ অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে। ইলেকট্রনিক বিএমডব্লিউ আইথ্রি ও হাইব্রিড বিএমডব্লিউ আই ৮ সুপারকার চালু থাকলে যে অবস্থা, এই অ্যাপ ব্যবহার করে সে অভিজ্ঞতা পেতে পারেন ব্যবহারকারী। অবশ্য এটি আপাতত শুধু ইউরোপে উন্মুক্ত করা হয়েছে। শিগগিরই অন্যান্য জায়গায় এটি ছাড়া হবে।
বিএমডব্লিউ গ্রুপ ভাইস প্রেসিডেন্ট আন্দ্রে ক্যাসট্রোনোভো বলেন, ‘আমরা জানি, গ্রাহকেরা ব্যস্ত মানুষ। তাঁদের জীবনযাপনে আমাদের অভ্যস্ত হতে হবে। এখন গ্রাহকেরা মজার ও ইন্টারঅ্যাকটিভ মাধ্যমে আমাদের পণ্য দেখতে পারবেন।’
বিএমডব্লিউ কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, এ ধরনের উন্নত রিয়্যালিটি অ্যাপ্লিকেশন শিগগিরই নতুন গাড়ির বাজারের অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে উঠবে। বিশেষ করে দামি গাড়িগুলোর ক্ষেত্রে। ২০১৭ সালে জানুয়ারি মাসে কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক শো উপলক্ষে এ অ্যাপটির ধারণা দিয়েছিল বিএমডব্লিউ। ইউরোপে বিএমডব্লিউ ডিলারদের নিয়ে অ্যাপটি পরীক্ষাও করেছে তারা।
ক্যাসট্রোনোভো বলেন, অ্যাপটি ব্যবহারের সময় দারুণ মজা পেয়েছেন ব্যবহারকারীরা। এটি ব্যবহারের সময় এমন অনুভূতি হয় যেন গাড়ির মধ্যে নিজে বসছেন অ্যাপ ব্যবহারকারী। অনেকে তাই গাড়ির ছাদের সঙ্গে মাথা লেগে যাওয়া ঠেকাতে মাথা নিচু করে ফেলেন। এটি যেন ভার্চ্যুয়াল দুনিয়ায় অনেকটাই বাস্তবের অনুভূতি। তথ্যসূত্র: এএফপি।