বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফেসবুকের মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী এখন ২৯০ কোটি। অর্থাৎ বিশ্বব্যাপী এই পরিমাণ অ্যাকাউন্ট থেকে মাসে একবার হলেও ফেসবুকে লগইন করা হয়। এই ব্যবহারকারীদের ৪ কোটি ৮০ লাখের বাস বাংলাদেশে।
এ খবর অবশ্য কয়েক দিন আগের। গত সোমবার ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের উপস্থিতিতে ফেসবুক ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) মধ্যে বিনিয়োগসংক্রান্ত ভার্চ্যুয়াল বৈঠক হয়। সেখানে এ তথ্য জানানো হয়।
পুরোনো খাবার নিয়ে জাবর কাটার চল আছে প্রাণিকুলে। আমরা পুরোনো খবর নিয়ে জাবর কাটি চলুন। ঠিক নিখুঁত না হোক, ৪ কোটি ৮০ লাখ সংখ্যাটা কেমন, তার সাধারণ একটা ধারণা পাওয়ার জন্য খাতা-কলম খুলে বসি।
জাতিসংঘের পপুলেশন ডিভিশনের ২০২০ সালের অনুমান অনুযায়ী বিশ্বের মোট জনসংখ্যা প্রায় ৭৮০ কোটি। আর ফেসবুকের মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী যদি ২৯০ কোটি হয়, তবে তা বিশ্ববাসীর ৩৭ দশমিক ২ শতাংশ।
পপুলেশন ডিভিশনের প্রতিবেদনে ২০২০ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা (আনুমানিক) বলা হয়েছে সাড়ে ১৬ কোটির কাছাকাছি। সে হিসাবে বাংলাদেশিদের ২৯ শতাংশের কিছু বেশি ফেসবুক ব্যবহার করেন। অর্থাৎ বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে কম মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করেন বাংলাদেশে।
বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে কম হলেও ৪ কোটি ৮০ লাখ সংখ্যাটা একদম কম নয়। ফেসবুকের তথ্য অনুযায়ী, ব্যবহারকারীর সংখ্যার বিচারে বাংলাদেশ বিশ্বে দশম। জার্মান বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান স্ট্যাটিস্টার জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশের চেয়ে বেশি ফেসবুক ব্যবহারকারী আছে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিল, মেক্সিকো, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও মিসরে।
৪ কোটি ৮০ লাখ সংখ্যাটা যে কম নয়, তা আপনি স্পেনে নজর দিলেও বুঝে যাবেন। জাতিসংঘের একই প্রতিবেদন অনুযায়ী ইউরোপের দেশটির মোট জনসংখ্যা ৪ কোটি ৬৮ লাখ। অর্থাৎ তা বাংলাদেশের মোট ফেসবুক ব্যবহারকারীর চেয়ে কম। অন্তত খাতা-কলমে তো বটেই।