করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে ফ্রিল্যান্সিং কাজের ক্ষেত্রে ঝুঁকে পড়ছে বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো। বিশ্লেষকেরা বলছেন, সংস্থাগুলো ভার্চুয়াল ওয়ার্কপ্লেসে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়ায় ও বাড়িতে বসে কাজের সুযোগ দেওয়ার নীতি দেওয়ায় ফ্রিল্যান্স চাকরির চাহিদা বেড়েছে। কোভিড-১৯ মহামারির পরে খরচ কমাতে অনেক প্রতিষ্ঠান স্থায়ী কর্মীকে সরিয়ে ফ্রিল্যান্স কর্মীর দিকে ঝুঁকবে।
ইকোনোমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ফ্রিল্যান্স এবং প্রকল্প ভিত্তিক কাজের গিগ প্ল্যাটফর্ম ফ্লেক্সিং ইট জানিয়েছে গত এপ্রিল মাসে ফ্রিল্যান্স পদে চাকরির জন্য নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ বেড়েছে ৭৫ শতাংশ। এইচআর টেকনোলজি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান পিপলস্ট্রং পূর্বাভাস দিয়েছে, ইন্টারনেট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, আইটি, আইটিইএস, স্টার্টআপ, হসপিটালিটি ও কুইক সার্ভিস রেস্টুরেন্ট, রিটেইল, লজিস্টিকের মতো বিভিন্ন খাতে ২৫-৩০ ভাগ কর্মী ফ্রিল্যান্স পদে রূপান্তরিত হবে।
ফ্লেক্সিং আইটির প্রধান নির্বাহী চান্দ্রিকা পাসরিচা বলেন, 'আমাদের প্ল্যাটফর্মে দক্ষ পরামর্শক, বিশেষ কৌশল , প্রযুক্তি ও মার্কেটিং দক্ষতাসম্পন্ন ফ্রিল্যান্সারের চাহিদা বাড়তে দেখা গেছে।'
আইটি ও আইটিখাত সংযুক্ত বিভিন্ন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান, ফার্মাসিউটিক্যাল, শিক্ষা, পেশাদার সেবা, পরামর্শকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ফ্রিল্যান্সিংখাতে দক্ষ কর্মীদের আগের চেয়ে এখন বেশি খুঁজতে শুরু করেছে। যেহেতু প্রকল্প ভিত্তিক কাজ করতে হবে তাই কর্মীর খরচ কমানোর জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে ফ্রিল্যান্সারদের চাহিদা বাড়ছে। প্রতিষ্ঠানের পক্ষেও নির্দিষ্ট প্রকল্প অনুযায়ী দক্ষ কর্মী নিয়োগের সুবিধা হচ্ছে এতে। বিভিন্ন অঞ্চল ও দেশ থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী কর্মী নিয়োগ দেওয়া যাচ্ছে।
ফ্লেক্সিং ইট কর্তৃক পরিচালিত সমীক্ষায় দেখা গেছে, কোভিড -১৯ প্রাদুর্ভাবের পরে গত ৩-৪ সপ্তাহের মধ্যে এ প্ল্যাটফর্মে দূরে থেকে কাজ করা প্রকল্পের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে গেছে। মার্চ থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে পেশাদার ফ্রিল্যান্সার নিবন্ধন ৮৪ শতাংশ বেড়েছে। যার কারণ, সম্ভবত চাকরি হারানোর আশঙ্কা, সংস্থাগুলোতে পরিবর্তন বা পেশাদার কর্মীরা আয়ের অতিরিক্ত উত্স তৈরি করতে চাইছেন।