যাঁরা ফ্রিল্যান্সিংয়ে আগ্রহী, তাঁদের একটি সাধারণ প্রশ্ন থাকে—ফ্রিল্যান্সিংয়ে দিনে কত ঘণ্টা কাজ করতে হয়? দক্ষ ফ্রিল্যান্সারা মনে করেন, আসলে ফ্রিল্যান্সিংয়ে কতক্ষণ কাজ করতে হবে, তার ধরাবাঁধা কোনো নিয়ম নেই। ক্লায়েন্টের সঙ্গে আপনার চুক্তির ওপর তা নির্ভর করবে।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজের ক্ষেত্রে প্রায় সময় আপনাকে রাতে কাজ করতে হতে পারে। তবে মনে রাখা জরুরি, যে কাজই করুন না কেন, তা ভালো করে জেনে-বুঝে তারপর করতে হবে এবং ক্লায়েন্টের সঙ্গে সব সময় ভালো যোগাযোগ রাখতে হবে। আর এই বিষয়গুলো আপনাকে পরবর্তী সময়ে নতুন কাজে অনেক সাহায্য করবে।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে নানা রকম কাজ রয়েছে। প্রথমেই জানা জরুরি যে ভাসা–ভাসা ধারণা বা দক্ষতা নিয়ে আপওয়ার্ক বা যেকোনো মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট খুলে কাজ পাওয়ার চিন্তা করলে হতাশ হতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিংয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে একশ্রেণির কাজের সঙ্গে আরেক শ্রেণির কাজের প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে। তাই সময়ের বিষয়টি কাজের ধরনের ওপর নির্ভর করে। কিছু কাজ অল্প সময়ে করা যেতে পারে; আবার দীর্ঘমেয়াদি কাজের সুযোগও রয়েছে।
দেশের অনেক ফ্রিল্যান্সার এখন গ্রাফিকস, ওয়েব ডিজাইন, অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের মতো কাজ করছেন। এর বাইরে সাধারণ ডেটা এন্ট্রি, কনটেন্ট লেখা থেকে শুরু করে অনুবাদের কাজেও অনেক ফ্রিল্যান্সার যুক্ত রয়েছেন। অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনার বিশেষ কোনো কাজের দক্ষতা থাকতে হবে। সেটা হতে পারে কনটেন্ট রাইটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, স্মার্টফোনের অ্যাপ তৈরি কিংবা এমন অসংখ্য কাজের মধ্যে কোনোটা, যেটাতে আপনি নিজেকে ভালো মনে করেন। মনে রাখা ভালো, আপনি কোনো কাজে দক্ষ না হলে প্রথমে কোনোভাবে কাজ পেয়ে গেলেও বেশি দিন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে টিকে থাকতে পারবেন না। এখানে আপনার দক্ষতাই সব।
অনেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেকে একজন মুক্ত পেশাজীবী (ফ্রিল্যান্সার) হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেন। যাঁদের কম্পিউটার, স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ আছে, তাঁরা যথাযথ দক্ষ হয়ে ফ্রিল্যান্সিং ক্ষেত্রে কাজ করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং একটু কম বয়সে শুরু করা ভালো, কারণ পড়াশোনার পাশাপাশি আপনি কাজ করতে পারবেন। তবে একাজে যথেষ্ট ধৈর্য থাকতে হবে।